।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জোর দিয়ে বলেছেন, তাইওয়ান অবশ্যই চীনের অংশ হিসেবে থাকবে এবং দেশটিকে তা মেনে নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ করার অধিকার চীন রাখে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে নীতিমালা সংক্রান্ত বিবৃতির ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে শি জিনপিং এসব কথা বলেন।
স্বায়ত্তশাসিত ও বিচ্ছিন্ন তাইওয়ানকে চীন নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণার পরিস্থিতিকে শি জিনপিং ‘ইতিহাসের প্রতিকূল ও অচল পরিস্থিতি’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি তাইওয়ানের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, স্বাধীনতা তাদের জন্য শুধু মাত্র দুঃখ দুর্দশাই বাড়াবে। স্বাধীনতা উসকে দেওয়া কোনো কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না। শান্তিপূর্ণ একত্রীকরণের ক্ষেত্রে ‘এক দেশ, দুই পদ্ধতি’ নীতির প্রতি আবারও আহ্বান জানান চীনের প্রেসিডেন্ট।
শি জিনপিং আরো বলেন, চীন-তাইওয়ান একত্রীকরণ চীনের নব-জীবনের জন্য অপরিহার্য। তাইওয়ান চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বিষয়। এক্ষেত্রে বাইরের কোন দেশের হস্তক্ষেপ অবাঞ্ছিত।
একদিন আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এক ভাষণে বলেছিলেন, তাইওয়ানের অস্তিত্ব চীনের মেনে নেওয়া উচিত এবং ভিন্নতার মীমাংসা শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে।
উল্লেখ্য, চীন-তাইওয়ান সম্পর্কের বিতর্ক বেশ পুরনো। ২০০৪ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট চেন শুই বিয়ান ঘোষণা করেন, তাইওয়ান চীন থেকে আলাদা হয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়। এই ঘোষণা চীনকে ক্ষুব্ধ করে। ২০০৫ সালে চীন তড়িঘড়ি করে এক আইন পাশ করে। যাতে বলা হয়, তাইওয়ান যদি চীন থেকে আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে, সেটা ঠেকাতে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করবে চীন।
সারাবাংলা/এনএইচ