‘ঐকমত্যের সরকার কি না, সিদ্ধান্ত ১০ জানুয়ারির মধ্যে’
২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:১৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জয়ী সব দলের সংসদ সদস্যের সমন্বয়ে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার হবে কি না তা জানা যাবে ১০ জানুয়ারির মধ্যে।
বুধবার (২ জানুয়ারি) সেতু ভবনে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে কোনো সন্দেহ ছিল না, আমরা টেনশনেও ছিলাম না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংসদের বিরোধী দলে গতবার যারা ছিল তারা তো আছেই। এছাড়া বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট থেকে আরও সাতজন আছেন। তাদের ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না তা তো জানা নেই। যা হবে ১০ জানুয়ারির মধ্যে জানা যাবে।’
‘নবগঠিত সরকার ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে কি না সেটাও ১০ জানুয়ারির মধ্যে জানা যাবে’ বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এখন তাদের উচিৎ সংসদে এসে জনগণের কথা বলা। তাদের উচিৎ জনগণের রায়কে শ্রদ্ধা জানানো। ওই সাতজন সংখ্যায় কম হলেও তাদের কণ্ঠস্বর তো অনেক বড়।’
জাতীয় পার্টির বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সরকারে না বিরোধী দলে থাকবে তা আগামীকাল জানা যাবে।’
নতুন করে নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ হলো ইশতেহারের ওয়াদা পূরণ, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করা। আমাদের বিশাল জয় হয়েছে, বিশাল দায়িত্ব, বিশাল প্রত্যাশা রয়েছে।’
‘ভোটে কারচুপি হয়েছে, বিএনপি আন্দোলন করতে চায়’ এ বিষয়ে সাংবাদিকরা ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে তো আন্দোলনের কথা শুনে আসছি। তারা যদি আন্দোলন করতে চায় তাহলে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। আন্দোলনের নামে কোনোপ্রকার সহিংসতা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণ করবে। আর যদি আইনিভাবে লড়াই করতে চায় তাহলে আমরাও আইনিভাবে বিষয়টির মোকাবিলা করব।’
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক নারীকে নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দোষীরা কেউ পার পাবে না। পুলিশ মহাপরিদর্শকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বেশ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’
নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির কারণ কী জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনীতি হলো জোয়ার-ভাটার মতো। জোয়ার সবসময় থাকে না। আওয়ামী লীগের জোয়ার যে সবসময় থাকবে এমনটি ভাবার কারণ নেই। তবে আওয়ামী লীগে জোয়ার থাকবে, না ভাটা থাকবে তা নির্ভর করবে আমাদের কর্মকাণ্ডের ওপর।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে