Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আ. লীগ-জাপার আসন নিয়ে বিভ্রান্তি


২ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৩৫

।। গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আসন জয় নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের ঘোষণা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ২৫৯টি ও জাতীয় পার্টি ২০টি আসন পেয়েছে বলা হলেও বাস্তবে তা ঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি ও জাতীয় পার্টি ২২টি আসন পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে বুধবার (২ জানুয়ারি) রাতে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন,‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় কাজের চাপ বেশি থাকায় এই ধরনের ভুল হতে পারে। আগামীকাল অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী দেওয়া হবে।’

ইসি সূত্র জানায়, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সারা দেশের সব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ওইদিন রাতভর ফল সংগ্রহ করা হয়। পরে ৩১ ডিসেম্বর ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে গিয়ে ইসি সচিব গণমাধ্যমকে এমন ভুল তথ্য দেন। পরের দিন সিইসি কেএম নুরুল হুদাও তার সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ীই ফল প্রকাশ করেন। ফলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির আসন জয় নিয়ে আগের ভুলই রয়ে যায়।

ইসি সূত্র জানায়, চূড়ান্ত ফল ঘোষণার রাতে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬) ও ফখরুল ইমামকে (ময়মনসিংহ-৮) আওয়ামী লীগের জয়ী হওয়া সংসদ সদস্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ কারণেই জাতীয় পার্টির প্রাপ্ত আসন-সংখ্যা ২২ থেকে কমে ২০-এ এসে দাঁড়ায়। এতে আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ২৫৭ থেকে বেড়ে হয় ২৫৯।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের ফলের বিবরণীতে দেখা যায়, ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশীদ ৯৩ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৯০ ভোট। ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গণফোরামের এ এইচ এম খালেকুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৩ ভোট।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সব মিলিয়ে ২৬০টি আসনে প্রার্থীর মনোনয়ন দিয়েছিল। সেখান থেকে হেরেছে মাত্র তিনটি আসনে। আওয়ামী লীগের পরাজিত তিন প্রার্থী হলেন—জিয়াউর রহমান (চাপাইনবাবগঞ্জ–২), আবদুল ওদুদ (চাপাইনবাবগঞ্জ–৩) ও কাজী জাফর উল্লাহ (ফরিদপুর–৪)। এই তিন আসনে জিতেছেন যথাক্রমে বিএনপির আমিনুল ইসলাম ও হারুনুর রশীদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের মধ্যে গাইবান্ধা-৩ আসনের প্রার্থী মারা যাওয়ায় ও আসনে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়। আসনটির নির্বাচন আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে নির্বাচনের দিন অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রের ফল প্রকাশ স্থগিত করা হয়। ওই আসনের স্থগিত কেন্দ্রে আগামী ৯ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে। বাকি ২৯৮ আসনের ফলের গেজেট ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী মোট ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭টি, জাতীয় পার্টি ২২টি, বিএনপি ৫টি, গণফোরাম ২টি, বিকল্প ধারা ২টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ২টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, তরিকত ফেডারেশন ১টি, জেপি ১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৩টি আসন পেয়েছেন।

সারাবাংলা/জিএস/এমএনএইচ

জাতীয়-নির্বাচন নির্বাচন কমিশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর