Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীত: আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ১৫, নিহত ২


৪ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৫০

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

দিনাজপুর: রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জেলায় গত এক সপ্তাহ যাবৎ তাপমাত্রা রয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। আর শীতের তীব্রতা যেন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে থেকে থেকে বয়ে যাওয়া ঠাণ্ডা বাতাস। শীত নিবারণে আগুন পোহাতে গিয়ে ঘটছে হতাহতের ঘটনা। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে এসেছেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বাকি ১৫ জন এখনও চিকিৎসাধীন। তাদের শরীরের ৩০ থেকে ৪০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। পুড়েছে শরীরের নিচের অংশ।

কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধ ১৫ জনের মধ্যে ৬ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। মারা গেছেন লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার রাজিয়া বেগম (২৭) এবং একই জেলার আদিতমারী উপজেলার মোমেনা বেগম (৩২)।

রমেক কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছেন, এ বছর রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা গতবারের তুলনায় বেশি হতে পারে। প্রতিদিনই নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে।

রমেক হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রহিমা খাতুন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, কঠিন শীত আর বাতাসে কাহিল অবস্থা। আগুন না জ্বালে উপায় নাই। খড় দিয়া আগুন পোহাচ্ছিলাম। হঠাৎ শাড়িতে আগুন নাগে গেছে।

হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফুল ইসলাম জানান, এই অঞ্চলে গত এক সপ্তাহে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সেই সঙ্গে বাড়ছে পোড়া রোগীর সংখ্যা। শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন জ্বালাচ্ছেন অনেক। অসাবধানতায় আগুন লেগে যাচ্ছে শরীরে। আমাদের বার্ন ইউনিটে শয্যা সংখ্যা মাত্র ২৬টি। রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। প্রতি বছরেই শীত মৌসুমে পোড়া রোগীর সংখ্যা বাড়ে। গত বছর অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, গতকাল (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী ভর্তি হয়েছেন। প্রতিদিনই নতুন রোগী আসছে। প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট রয়েছে। সেগুলো ম্যানেজ করেই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/এমএইচআর/এটি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর