পাহাড়ি এলাকায় কমছে তাপমাত্রা, সিলেটে জেঁকে বসছে শীত
৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৮:৪২
।। বিলকিস আক্তার সুমি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
সিলেট: মেঘালয়ের পাদদেশের এলাকা সিলেট। পৌষের শেষে এসে শীত জেঁকে বসেছে দেশের উত্তরপূর্বের এই পাহাড়ি জনপদে। ক্রমেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা, রাতে কমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। এতে গ্রাম এলাকার লোকজন শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন, বাড়ছে দুর্ভোগও।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের গত ২ ও ৩ জানুয়ারির বার্তায় জানা গেছে, সিলেটের তাপমাত্রা রাতের বেলা কমে যাচ্ছে। আর শেষার্ধ্বে এসে সেটি ঠেকেছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত কয়েক দিনের মধ্যে ৩০ ডিসেম্বর সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল সিলেটে। এদিকে, তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস।
শীতের তীব্রতার পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়ছে সিলেটের জনপদ। বিশেষ করে মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরো সিলেট। আর সেটি অব্যাহত থাকে সকাল ১০টা পর্যন্ত। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলে না। শীতের কারণে সিলেটের পাহাড়ি ও হাওর এলাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
মেঘালয়ের পাদদেশ সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের মাঝগাঁও গ্রামের লোকমান মিয়া জানিয়েছেন, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই সিলেটের পাহাড়ি জনপদে তীব্র শীত জেঁকে বসে। সেই সঙ্গে বাড়ে কুয়াশাও। সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত ও কুয়াশা অব্যাহত থাকার কারণে নিম্ন আয়ের পাথর শ্রমিকরা কাজে বের হতে পারেন না। এছাড়া বাগান এলাকায় কর্মরত শ্রমিকরাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
কুয়াশার কারণে বিশেষ করে রাতের বেলা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। বাসচালক তমজিদ মিয়া সারাবাংলাকে জানান, সকাল ৮ টা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কয়েকটি এলাকা কুয়াশায় ঢেকে থাকে। গাড়ির সামনে হেড লাইট জ্বালিয়েও ১৫-১৬ ফুটের বেশি দেখা যায় না।
সিলেট থেকে শেরপুর, হবিগঞ্জের আউশকান্দি থেকে শায়েস্তাগঞ্জ, মাধবপুর থেকে আশুগঞ্জ সেতু এবং ভৈরব থেকে নরসিংদী পর্যন্ত সড়কে তীব্র কুয়াশা থাকে বলেও জানান তমজিদ মিয়া।
সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ ও আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিলেটে এখন শৈত প্রবাহের কোনো আশঙ্কা নেই, শনিবার থেকে রাতের বেলা শীত কিছুটা কমে যাবে।’
সারাবাংলা/এমও