দীর্ঘ হচ্ছে শ্রদ্ধার সারি
৫ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:০৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে নেওয়া হয়েছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ। সেখানে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করছেন সর্বস্তরের মানুষ। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের লাইন।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার মরদেহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে থ্যাইল্যান্ড থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতারা বিমানবন্দরে সৈয়দ আশরাফের কফিন গ্রহণ করেন। এরপর মরদেহ সন্ধ্যা ৭টায় বেইলি রোডে তার সরকারি বাসভবনে আনা হয়।
সৈয়দ আশরাফের চাচাতো ভাই আশফাকুল ইসলাম টিটো জানান, আগামী মঙ্গলবার বাদ আছর পর বেইলি রোডের বাসায় কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে। রাতটার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদনের ঘোষণা মঞ্চ থেকে তিনি এই ঘোষণা দেন। কুলখানিতে দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
বেইলি রোডে সৈয়দ আশরাফকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থানের নেতাকর্মী, পরিবারের সদস্য, আত্মীয় স্বজন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে উপস্থিত আছেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মুকুল বোস, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টুসহ অনেকে। এখানে সৈয়দ আশরাফকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন তারা।
এরপর সেখান থেকে রাতে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে মরদেহ।
এর আগেই বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে বিকেল থেকেই অপেক্ষা করছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু পঙ্কজ দেবনাথ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদসহ অনেকে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একমাত্র সন্তান সৈয়দা রিমা ইসলাম লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে চাকরি করেন। তার ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম, সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, সৈয়দা রাফিজা নূর রূপা ও একমাত্র মেয়ে রিমা ইসলাম থাইল্যান্ডে মরদেহের সঙ্গে ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এমআই