প্রিয় নেতার অপেক্ষায় কিশোরগঞ্জবাসী
৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৯:৩১
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
কিশোরগঞ্জ: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে কাঁদছে কিশোরগঞ্জ, কাঁদছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের চরম বিরুদ্ধবাদীরাও বলছেন, সৈয়দ আশরাফুলের মৃত্যুতে রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। এই মহানায়কের মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেবলই শোকগাঁথা আর অতল শ্রদ্ধা। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে ব্যাকুল হয়ে প্রতীক্ষায় আছেন শোকাহত জনতা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৬ জানুয়ারি) সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জে আনা হবে। দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পর মরদেহ ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হবে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে এবার নিয়ে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থাকায় এবারের নির্বাচনে তিনি সশরীরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি। তার পক্ষে পরিবারের সদস্যরা এবং জেলা আওয়ামী লীগ ও দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা বলছেন, মানুষের কাছে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একটি পরিচ্ছন্ন ইমেজ রয়েছে। তাই প্রিয় নেতার প্রতি আস্থার বহি:প্রকাশ হিসেবে মানুষ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নির্বাচনে বিজয়ী করেছে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ দেশে আনতে ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ওই রাতেই থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হন। থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে আগে থেকেই সৈয়দ আশরাফের মরদেহের পাশে ছিলেন ছোট দুই বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি ও সৈয়দা রাফিয়া নূর রূপা এবং কন্যা সৈয়দা রিমা ইসলাম।
থাইল্যান্ড থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ একটি ফ্লাইটে শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ দেশে পৌঁছায়।
সারাবাংলা/এমএইচ