Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢামেক হাসপাতালে চালু হচ্ছে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার


৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:০৪

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: দুর্ঘটনায় আহত বা মারাত্মকভাবে জখম রোগীদের দ্রুততম সময়ে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চালু হচ্ছে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার। এখানে ৪ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ), ৪ শয্যার হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) এবং পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটসহ মোট ১৬টি শয্যা থাকছে।

থাকছে আলাদা প্যাথোলজি সেবা। রোগীরা পাবেন এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, সিটি স্ক্যান, আলট্রাসনোগ্রাফি, ডায়াথার্মি, পালস অক্সিমিটার এবং রক্তের জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে আসা রোগীদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় লাল, কমলা, হলুদ ও সবুজ ব্যান্ড দিয়ে চিহ্নিত করে সেবা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম রোববার (৬ জানুয়ারি) সেন্টারটি উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।

চিকিৎসকরা বলছেন, ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টার চালু হলে দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা যেমন দ্রুত চিকিৎসা পাবে, তেমনই কমবে ভোগান্তি। একইসঙ্গে চিকিৎসা প্রলম্বিত না হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা কমবে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় দেড় হাজার রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে প্রায় ২শ’ রোগীর অস্ত্রোপচার হয়।

ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ডা. আলাউদ্দিন বলেন, রোগীদের প্রথমে ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) রিসিভ করবেন। এরপর রোগীকে ট্রিয়াজ কর্নারে পাঠানো হবে। সেখানে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিহ্নিত করা হবে। আশঙ্কাজনক রোগীদের লাল রঙে চিহ্নিত করা হবে। মারাত্মক জখম রোগীদের কমলা রঙ, আঘাত মারাত্মক কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব- এমন রোগীদের হলুদ এবং অপেক্ষাকৃত কম মারাত্মক রোগীদের সবুজ রঙে চিহ্নিত করা হবে। পরে অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা শুরুর পর তাদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওয়ার্ডে পাঠানো হবে।

বিজ্ঞাপন

ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে অর্থোপেডিক্স, নিউরোলজি ও নিউরো সার্জারি, হৃদরোগ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ এবং শিশু রোগ বিশেষজ্ঞরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রত্যেক বিভাগে একজন করে কনসালটেন্ট নিয়োজিত থাকবেন, যার তত্ত্বাবধায়নে থাকবেন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয়, ওটি বয় এবং বাকিরা।

সারাবাংলা/জেএ/এটি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর