পোশাক শ্রমিকদের জন্য নতুন ওয়েজ বোর্ড
১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১৬:৩৯
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকাঃ পোশাক শ্রমিকদের জন্য নতুন ওয়েজ বোর্ড (বেতন কাঠামো) গঠন করেছে সরকার। এতে স্থায়ী চার সদস্য ছাড়াও মালিকক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে শামসুন্নাহার ভূঁইয়াকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
তবে এক শ্রমিক নেতার অভিযোগ, শামসুন্নাহার ভূঁইয়া পোশাক শ্রমিকদের কোন প্রতিনিধি নন। তিনি আওয়ামীলীগের শ্রমিক নেতা। এতে দাবী দাওয়া অর্জন করতে গিয়ে তাদের বেগ পোহাতে হবে বলে মনে করেন ওই নেতা।
রোববার(১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই কমিটি পোশাক শ্রমিকদের বেতন কাঠামো যাচাই-বাছাই করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর সরকার তাদের নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করবে।
এর দুই বছর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হয়। আর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে নতুন মজুরি কাঠামোয় প্রথম বেতন পান শ্রমিকরা। তখন চারটি গ্রেডে বাস্তবায়ন করা এই মজুরি কাঠামোয় সর্বনিম্ন বেতন ধরা হয় ৫৩০০ টাকা। ওই মজুরি কাঠামোতে প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে বেতন বাড়ার পাশাপাশি পাঁচ বছর পর নতুন বেতন কাঠামো করার কথা বলা ছিল।
এই হিসাবে নতুন মজুরি কাঠামো চালু হতে আরও এক বছর সময় বাকি আছে। তবে সরকারের শেষ বছরে কেউ যেন এটি নিয়ে কেউ যেন অস্থিরতা তৈরি করতে না পারে, সে জন্য সরকার আগে ভাগেই উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে শীর্ষ শ্রমিক সংগঠন ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কাসের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, শ্রমিক প্রতিনিধি হিসেবে পোশাক খাতের সংশ্লিষ্ট শ্রমিক প্রতিনিধিকেই অন্তর্ভূক্ত করা উচিত ছিল। কারণ, শামসুন্নাহার ভূঁইয়া আওয়ামী ঘরনার শ্রমিক নেতা হলেও তিনি পোশাক শ্রমিকদের সংশ্লিষ্ট কেউ নন। শ্রমিক প্রতিনিধি হলে এটি অবশ্যই ইতিবাচক হতো। এখন অনেক কিছু অর্জন করতে গিয়ে বেগ পোহাতে হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/জেডএফ