ঢামেক হাসপাতালের সম্প্রসারিত জরুরি বিভাগের শুভ উদ্বোধন
৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:৪৩
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সম্প্রসারিত জরুরি বিভাগের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৬ জানুয়ারি) বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এর উদ্বোধন করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জরুরি বিভাগে নতুন সেবা চালু করা হয়েছে। যাতে দ্রুত মুমূর্ষু রোগীরা চিকিৎসা পায়। সারা দেশ থেকে অনেক সড়ক দুর্ঘটনায় মুমূর্ষু রোগীরা জরুরি বিভাগে আসেন। তাদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হলে অনেকেই বেঁচে যাবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগেও রোগীরা টিকিট কেটে চিকিৎসক দেখিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতো। এখন সেটা করতে হবে না। জরুরি বিভাগেই এই সেবা পাবে। এমন হাসপাতাল চাই না যেখানে চিকিৎসক পাওয়া যাবেনা, ওষুধ পাওয়া যাবে না। কোনো রোগী যেন বলতে না মেশিন নষ্টের কারণে চিকিৎসা হয়নি। যে কারণে জরুরি বিভাগ খোলা হয়েছে সেটা যেন ব্যহত না হয়।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জরুরি বিভাগে প্রতিদিন ১২০০-১৫০০ রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেয়। এই রোগীর জন্য দুই জন মেডিকেল অফিসার ও চার জন ক্যাজুয়ালটি চিকিৎসদের পক্ষে চিকিৎসা প্রদান করা কষ্টসাধ্য ছিল। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও চিকিৎসা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন যাবৎ অনুভূতি হচ্ছিল। এর পরিপ্রক্ষিতে জরুরি বিভাগে মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
পরিচালক বলেন, ‘জরুরি বিভাগে ১৫ শয্যার একটি আধুনিক ও জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এখানে ৪টি আইসিইউ বেড, ছয়টি এইচডিইউ বেড, পাঁচটি বিশেষ অবজারভেশন বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রটির নাম ওয়ার স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টার নাম দেওয়া হয়েছে। এখানে থাকবে পাঁচটি মাইনর অস্ত্রোপচার কক্ষ, ইসিজি কক্ষ, নেবুলাইজেশন, কার্ডিয়াক মনিটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।’
গাইনি এন্ড অবস্, শিশু রোগীদের জন্য কনসালটেশন কক্ষ, নিউরোসার্জারি ও হেড ইনজুরিসহ বিভিন্ন ধরনের সার্জিক্যাল রোগীদের জন্য জেনারেল সার্জারি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে। বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য কেমিক্যাল দূষণজনিত রোগীদের জরুরি চিকিৎসার জন্য একটি ডিকন্টামিনেশন কক্ষ তৈরি করা হয়েছে।
ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে রোগীদের জন্য দ্রুত রোগ নিরুপনের জন্য ১২৮ স্লাইস সিটি স্ক্যান মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফিসহ একটি মিনি প্যাথলজি ল্যাবরোটরি তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে যেকোনো মুমূর্ষ রোগীদের দ্রুত রোগ নিরুপণ করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে বলে বলেন পরিচালক নাসির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব (ভারপ্রাপ্ত) জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খান আবুল কালাম আজাদসহ অনেকেই।
সারাবাংলা/এসএসআর/এমও