Tuesday 15 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মন্ত্রিসভায় নেই আ.লীগের শরিকরা


৬ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:৩৫ | আপডেট: ৬ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:৫৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলসহ মহাজোট হয়েই অংশ নিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মহাজোট হিসেবেই এই নির্বাচনে এসেছে ভূমিধ্বস জয়। ধারণা করা হচ্ছিল, আগের দুই মেয়াদের মতো এই মেয়াদেও আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় জোটের শরিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব থাকবে। তবে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার যে তালিকা প্রকাশ পেয়েছে, তাতে আওয়ামী লীগ বাদে কোনো শরিক দলের সদস্যদেরই নাম নেই।

রোববার (৬ জানুয়ারি) দুপুর থেকেই নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম প্রকাশ পেতে থাকে। পরে বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন মন্ত্রিসভার তালিকা ঘোষণা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিন জন উপমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন। তবে এর মধ্যে জাতীয় পার্টি কিংবা ১৪ দলের শরিক কোনো দলের কোনো নেতার নামই নেই।

বিজ্ঞাপন

ঘোষিত তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। টেকনোক্র্যাট কোটায় যে তিন জন মন্ত্রী হচ্ছেন, তারাও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বা আওয়ামী ঘরানার বলে পরিচিত।

এর আগে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেনকে (মঞ্জু) মন্ত্রিসভায় রাখা হয়। তবে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় তারা কেউই স্থান পাচ্ছেন না। এছাড়া, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ ছিলেন গত মন্ত্রিসভায়। এবারের মন্ত্রিসভায় তাদেরও কেউই স্থান পাননি।

এর আগে, ২০০৮ সালের মহাজোট সরকারেও মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন জাতীয় পার্টির জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক চুন্নু, জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদের হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া। কিন্তু ২০১৯ সালের নতুন মন্ত্রিসভায় এসে দুই সরকারের ধারাবাহিকতায় এসেছে পরিবর্তন।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে এবং তাদের নির্বাচিত কোনো সংসদ সদস্য এখনও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি। ফলে জোটের শরিক হলেও জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের শরিকরা কার্যত একাদশ সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সারাবাংলা/এইচএ/টিআর

১৪ দল মন্ত্রিসভা শরিক দল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর