আজও পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, উত্তরায় যান চলাচল বন্ধ
৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১২:৩১
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর উত্তরায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে।
সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে আব্দুল্লাপুর-এয়ারপোর্ট সড়কে। ঢাকা থেকে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া গাড়িগুলো জসিম উদ্দিন রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে।
নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন চেয়ে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ
সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে রোববার (৬ জানুয়ারি) উত্তরার আজমপুর থেকে জসিমউদ্দিন সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের আশ্বাসে ওই দিনের মতো অবরোধ তুলে নেয় শ্রমিকরা। তবে তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আজ সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে আবারও সড়ক অবরোধ শুরু করে শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারী গামেন্টস শ্রমিক জসিম সারাবাংলাকে জানান, সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল চৈতি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আন্দোন শুরু করলে মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তাদের প্রতিশ্রতির পর আন্দোলন স্থগিত করে শ্রমিকরা কিন্তু আজ কাজে এসে তাদের দাবি বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ না দেখে আবারও আন্দোলনে নামে শ্রমিকরা।
গতকাল উত্তরার চৈতি গার্মেন্টস থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। এর আশে পাশের বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস থেকে শ্রমিকরা এসে আন্দোলনে যোগ দেয়।
অবরোধ চলাকালে এয়ারপোর্ট মোড়ে এনা পরিবহনের একটি বাসের হেলপার একজন গার্মেন্টস শ্রমিককে মারধর করলে ওই বাসটি পুড়িয়ে দেয় আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. তৌহিদুর রহমান, সরকার ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছে। যেহেতু আজ মন্ত্রিসভার শপথ, তাই এ শপথ গ্রহণ শেষ হলে নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে আমরা ও গার্মেন্টস মালিকরা বসে এ বিষয়ে আলোচনা করবো। এখন পর্যন্ত বোর্ড বাজার ও হেমায়েতপুরের শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিয়ে কর্মবিরতিতে গেছে। তা ছাড়া আশা করছি দুপুরের মধ্যেই উত্তরা থেকেও অবরোধ উঠে যাবে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন খান সারাবাংলাকে বলেন, শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশের সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লাগবে। কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছি। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই, তবে তাদের কিছু অযৌক্তিক দাবিও আছে। অনেক গার্মেন্ট কারখানা সরকারি মজুরি কাঠামো মেনে বেতন দেয় কিন্তু সেখানকার শ্রমিকরাও সড়কে নেমেছে। আমরা তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/এমআই