প্রবল আন্দোলনের খরস্রোত ধেয়ে আসছে : রিজভী
৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:১৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জনগণের প্রবল আন্দোলনের খরস্রোত ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন আগে-পরে ব্যাপক সহিংসতা, রক্তপাত, ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা, নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করা, প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেফতার, আদালতকে ব্যবহার করে প্রার্থিতা বাতিলসহ ভোটের নামে নিষ্ঠুর তামাশায় দেশবাসীর মতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদে সোচ্চার।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের ভোটাধিকার হরণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ন্যক্কারজনক ভূমিকায় দেশবাসী হতবাক ও ক্ষুব্ধ। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জনগণের ললাটে এক বিষাক্ত কাঁটা। অথচ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, এবারের নির্বাচনের শৃঙ্খলা আগামীবারেও থাকবে।
‘সাবাশ এইচ টি ইমাম। আপনি আত্মমর্যাদাহীন, অনুশোচনাহীন, আজ্ঞাবাহী একজন মানুষ। যার পক্ষে আগামী নির্বাচন নিয়ে এধরনের অঙ্গীকার করা ছাড়া আর কিইবা বলার থাকতে পারে। বিবেক বিক্রি করা এইচ টি ইমাম মানুষের ভোট কেড়ে নিতে কত দ্বিধাহীন’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ভোগ-লালসায় অস্থির থাকায় এদের মানবিক বিবেচনাগুলো হারিয়ে গেছে। এরা ক্ষমতা ধরে রাখতে পুলিশের বুটের তলায় মানুষের ভোটাধিকার চেপে দেয়ার যে কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেটিরই পুনরাবৃত্তি করার অঙ্গীকার করলেন আগামী নির্বাচনের জন্য।
রিজভী বলেন, ‘যারা ভোট ও বিবেক বিসর্জন দিয়ে ন্যায়-অন্যায়ের এথিক্সের ধার ধারেন না, কেবল তাদের দ্বারাই পূর্বে সংঘটিত যেকোনো ঘৃণ্য কাজের পুনরাবৃত্তিই হওয়াই সম্ভব। তবে আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই-জনগণের অধিকারের পক্ষে আমাদের উচ্চারণ থামবে না। জনগণের ওপর জবরদস্তি করে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাবেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘এদেশের ইতিহাস বিদেশি প্রভু ও স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে রক্তঝরা সংগ্রামের ইতিহাস। সুতরাং বর্তমান মহাজালিয়াতি, বিরামহীন ভোট ডাকাতির নির্বাচনে তৈরি নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী শাসন, গণতন্ত্র হরণ, বিরোধী দল ও মত নিধনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রবল আন্দোলনের খরস্রোত ধেয়ে আসছে।’
সারাবাংলা/এজেড/এনএইচ