অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুর্নীতি রোধ করাই সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ
৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৫১
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।
আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করার জন্য জনগণের কাছ থেকে ক্ষমতায় থাকার ম্যানডেট পেয়েছে। ২০১৮ সালের অপরাজনীতি হটিয়ে বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। নতুন অধ্যায়ে সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক দুর্নীতি রোধ করা।
সোমবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব মতামত প্রদান করেন। ‘নির্বাচন ২০১৮: অপরাজনীতির প্রস্থান ও নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ‘জাগো বাংলা ফাউন্ডেশন।’
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মুবিন চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সুভাষ সিংস রায়, কবি নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। পাকিস্তানের চর হিসেবে তিনি ওপারে গিয়েছিলেন। ৭৫ পরবর্তী ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের নায়ক। তিনি রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন, জয় বাংলা স্লোগানকে দেশান্তরে পাঠিয়েছিলেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চেহেরা পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন। এসব ঘটনার উপসংহার হিসেবে বলা যায় জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
হাইকোর্টের সাবেক এই বিচারপতি আরও বলেন, পার্লামেন্টে জোরালো বিরোধীদল থাকা উচিত। তবে সেটা হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। বিএনপি-জামায়াত হবে না।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্য থেকে শক্তিশালী বিরোধীদল বেরিয়ে আসবে প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, এরশাদ প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা হয়েছে তাকে সাধুবাদ জানায়। এছাড়া, বিএনপি-জামায়াতকে অপশক্তি আখ্যা দিয়ে সরকারকে তিনি সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান।
বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে রাজনীতি করব না। সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আমাদের একাত্মতা রয়েছে। অপরাজনীতির প্রস্থান ঘটাতে হবে। এট একটা প্রক্রিয়া। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধ ধরে রাখলে এই অপরাজনীতির প্রস্থান সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, ঐক্যফ্রন্টে অনেক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। অপরাজনীতিকে আশ্রয় দিতে যেয়ে তারা পরাজিত হয়েছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুর্নীতি মোকাবেলা এই সরকারের চ্যালেঞ্জ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, শস্যের মধ্যে ভূত তাড়াতে হবে। অন্যথায় উন্নয়ন কার্যকর হবে না। সরকারের কাছে প্রথম দাবি ব্যক্তিস্বার্থে যারা রাজনীতি করে তাদের রাজনীতিতে স্থান দেওয়া যাবে না। এটা করলে আওয়ামী লীগ চিরকাল সরকার গঠন করবে। সব সময় মনে রাখতে হবে এই দেশটা সাধারণ গরিবের। ধনীরা আওয়ামী লীগকে ভোট দেয় না। তাদের ভোট দেয় রিকশাওয়ালা, গ্রামের মানুষ, প্রগতিশীল ছাত্ররা। অতএব এসব মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। গ্রামকে উন্নত করতে হবে শহরের সংস্কৃতি দিয়ে নয় ঐতিহ্য দিয়ে।
সারাবাংলা/কেকে/এনএইচ