Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দেবেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী


৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:৪৬

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিতে চান নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দিতেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সোমবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে শপথ নেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়নে সামনে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেওয়া হবে। বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়াতে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরো শক্ত করতে এবার কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে জোর দেওয়া হবে।’

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘একই সঙ্গে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নয়নেও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে ৩৭ বছরের প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরেছিলেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের হয়ে জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্বসহ কূটনৈতিক কাজে যুক্ত ছিলেন মোমেন। দেশে ফিরেও তিনি সরকারে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর পছন্দে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছেন। সিলেট-১-এ আসনে আগে এমপি ছিলেন তার বড় ভাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রধানমন্ত্রী তাকে কাজে লাগাবেন এ আশ্বাস ছিল—সুদূর আমেরিকায় থাকাকালে।

ড. মোমেন ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত ছিলেন বোস্টনের ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিকস ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান। সেখান থেকে ছুটি নিয়ে ওই বছরই জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি (রাষ্ট্রদূত) হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায়। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন উচ্চশিক্ষার জন্য। এরপর পড়ালেখা শেষ করে অধ্যাপনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রেরই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাজ করেছেন বিশ্বব্যাংকে, প্রতিনিধিত্ব করেছেন বহু আন্তর্জাতিক সংস্থায়।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষা জীবনে তিনি সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও এমসি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেন।

এরপর যোগ দেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ছিল তার প্রথম চাকুরি। সেখান থেকে ফেলোশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। বোস্টন থেকে পিএইচডি করে। শিক্ষকতা শুরু করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর পড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট ফান্ডের একটি প্রজেক্টে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর সেখান থেকে ফিরে এসে বোস্টনের ফ্রেমিংহাম স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিকস ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে খালে ভাসছিল অর্ধগলিত লাশ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৩

বিএসইসি‘র চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৫১

বাড়তে পারে তাপমাত্রা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৪

সম্পর্কিত খবর