‘আমরা সবাই একসঙ্গেই তো আছি’
৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:০৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : টানা মেয়াদে মহাজোট সরকারে এবারই প্রথম জোট শরিকদের বাইরে রেখে মন্ত্রিসভা গঠন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও এখনও জোট শরিকরা মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার আশা পুরোপুরি ছাড়েননি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মন্ত্রীত্ব পাঁচ বছরের ব্যাপার, এর মাঝে রদবদলও হতে পারে।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ শেষে একথা বলেন মন্ত্রী।
জোট শরিকদের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পাওয়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গেই তো আছি। ১৪ দল আমাদের সঙ্গে আছে। এখন মন্ত্রী থাকা না থাকার উপর তো আমাদের অ্যালায়েন্স ভেঙে গেছে, এটা বলা যাবে না। মন্ত্রী তো পাঁচ বছরের ব্যাপার, মাঝে মাঝে এক্সপানশন হবে, রিশাফল হবে, এর মধ্যে অনেকে যাবেন। আবার ভালো পারফরমেন্স না থাকলে মাঝপথে বিদায়ও নিতে হবে।’
২০০৮ সালের মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন পর্যায়ে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু, জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া।
২০১৪ সালের সরকারেও হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
কিন্তু সদ্য ঘোষিত নতুন মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট বা ১৪-দলীয় জোটের শরিক দলের কোন নেতার ঠাঁই হয়নি। এনিয়ে ১৪ দলীয় জোট শরিকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলেও বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার ছিল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের শেষ কর্মদিবস। সচিবালয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কথা ছিল আন্দোলন, নির্বাচন আর সরকার নিয়ে। কিন্তু শরিকদের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। ব্যাখ্যাও হয়তো চাওয়া হতে পারে।’
সব মিলিয়ে আগামী পাঁচ বছরে মন্ত্রিসভায় যে নতুন কোনো চমক আসবে না, সেটিও নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
সারাবাংলা/এনআর/এসএমএন