ব্যবসাবান্ধব সহজ পরিবেশ চায় বিদেশিরা
৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৪৮
।। এমএকে জিলানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দেবেন বলে জানিয়েছেন একাদশ সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত। তারা বলছেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সহজ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সোমবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে শপথ নেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়নে সামনের দিনে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেওয়া হবে। বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়াতে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরো শক্ত করতে এবার কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে জোর দেওয়া হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেনের এই মন্তব্যটি সারাবাংলা’র এই প্রতিবেদক টুইট করলে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারহানহল্জ ফিরতি টুইটে বলেন, ‘অর্থনৈতিক কূটনীতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে জার্মানি। কিন্তু তার আগে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে হবে।’
ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনজি তেরিঙ্ক মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশ-ইইউ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগের আওতায় ব্যবসা বান্ধব পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে ইইউ নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়।’
সর্বশেষ তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠকসহ একাধিক সময় ইইউ জানিয়েছে, সুশাসনের নিশ্চয়তা পেলে ঢাকাকে শতভাগ বাণিজ্য সুবিধা দিতে চায় বৈশ্বিক এই জোটটি। বড় বিনিয়োগের বিপরীতে শ্রমিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, আন্তর্জাতিক শ্রম আইন এসব ক্ষেত্রে সুশাসন দেখতে চায় ইইউ। বিশেষ করে, পোষাক খাতের উন্নয়নে সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট (এই খাতের উন্নয়নে বেশকিছু শর্ত) এর শতভাগ বাস্তবায়নের পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখতে চায় ইইউ।
বাংলাদেশ বর্তমানে এলডিসি’র আওতায় ইইউ’র বাজারে জিএসপি সুবিধা পাচ্ছে। আগামী ২০২৭ সালের পর ইইউ’র বাজারে এই সুবিধা থাকছে না। তখন ইইউ’র বাজার থেকে জিএসপি প্লাস সুবিধা নিতে চায় বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির অন্যতম প্রধান বাজার জার্মানি। গেল ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জার্মানিতে বাংলাদেশের পোষাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৫৮ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি।
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক জানান, বাংলাদেশের বাণিজ্যের বড় অংশীদার ইইউ। এই জোটটি অস্ত্র ছাড়া বাণিজ্যের সকল শাখায় শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। ইইউ’র বাজারে পণ্য রপ্তানি আরো বাড়াতে বাংলাদেশকে আরো কিছু শর্ত (পোষাক খাতের সাসটেইনেবিলি কমপেক্ট) বাস্তবায়ন করতে হবে।
সারাবাংলা/জেআইএল/এসএমএন