Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুরনোরা ব্যর্থ ছিলেন না, নতুনরা নজরদারিতে থাকবেন: প্রধানমন্ত্রী


৮ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৪৮

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: পুরনো মন্ত্রীদের সফলতাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নতুনদের মন্ত্রী বানিয়েছি, এরমানে এই নয় যে পুরনোরা ব্যর্থ ছিলেন। পুরনোরা সফল ছিলেন বলেই দেশ আজ অনেক দূর এগিয়েছে। নতুনদের বানিয়েছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করার জন্য।’ মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নতুন মন্ত্রিসভা ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় নবনির্বাচিত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (নতুন মন্ত্রীদের) সব কাজ বুঝে নিতে হবে। এরপর করতে হবে। সবাইকে আমি কঠোর নজরদারিতে রাখবো। কে কী করেন, আমি তা দেখতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘সবাইকে বলবো, আগে জানতে হবে, বুঝতে হবে। তারপর কাজ করতে হবে এবং কথা বলতে হবে। কারণ, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি করে রেখে যেতে চাই।’

নতুন মন্ত্রিসভা সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে নির্বাচন করে তৃতীয় দফা সরকার গঠন করলাম, যারা টানা দশ বছর মন্ত্রী ছিলেন, তাদের জায়গায় নতুনদের আনার চেষ্টা করেছি। একইসঙ্গে যেসব জেলায় কখনো মন্ত্রী হয়নি, সেসব এলাকায় মন্ত্রী করার চেষ্টা করেছি। স্বাভাবিকভাবে মানুষ ধারণা করে, এলাকায় মন্ত্রী দিলে সে এলাকার উন্নয়ন হয়। যদিও আমরা সমানভাবে সারাদেশে উন্নয়ন করছি।’ তিনি বলেন, ‘তরুণ ভোটার ও নারীদের প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। আমরা যখন সার্ভে করার ভেবেছি, তরুণ ও নারীদের কীভাবে আকর্ষণ করা যায়। কী কাজ করলে তারা ভোট দেবেন, সে চিন্তা থেকেই আমরা এভাবে মন্ত্রিসভা সাজিয়েছি। নির্বাচন যদি অঙ্কের মতো করে করা যায়, তাহলে হার জিতের বিষয়টা বোঝা যায়। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের নির্বাচন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আবার সেই মানবতাবিরোধী অপরাধী, অগ্নিসন্ত্রাসীরা ক্ষমতায় আসবে কি না, তা সিদ্ধান্তের বিষয় ছিল। এইবার নির্বাচনি প্রচারণায় আমি যেটা দেখেছি তা হলো, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে নৌকার প্রতি ব্যাপক আগ্রহ, নৌকার জোয়ার। শিডিউল ছাড়াও আমি জনসভা করেছি। নির্বাচনের আগে ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে যে বক্তব্য শুনেছি, তা হলো নৌকার প্রতি আগ্রহ। তারা চেয়েছে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসুক।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির এমন পরায়জয়ের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব আসনে তারা জিতবেন, সেসব আসনে তারা মনোনয়ন দেননি। বহু আসন ছিল, যেখানে যোগ্য লোক ছিলেন, কিন্তু তাকে মনোনয়নই দেওয়া হয়নি। তারা টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন দিয়ে যোগ্য লোকটাকে সরিয়ে দিয়েছে। শুনেছি মালয়েশিয়া দুজন লোক এসে টাকা দিয়ে মনোনয়ন নিয়ে নিয়েছেন। নিজের দোষেই তারা হেরেছে। অন্যকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। তারা মনোয়নবাণিজ্য শুধু করেনি। মনোনয়ন তারা অকশনে দিয়েছিল।’

এক সময় বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেতো না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করতে দেওয়া হতো না। আজ আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধেীদের বিচার করেছি। জাতির জনক হত্যার বিচার করেছি। রাজনৈতিকভাবে আমাদের সম্পূর্ণভাবে উল্টোভাবে চালানো হচ্ছিল। সেখান থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে পুনরায় পরিচালিত করছি।’

বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এদের আর রাজনীতিতে ঠাঁই হওয়া উচিত না। এদের আর ক্ষমতায় আসা উচিত না। এরা ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস করে মানুষের ক্ষতি করে। এবার জনগণ এটা বুঝতে পেরেছে বলেই জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘তাদের শাসনামলে যে পরিমাণ, জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে, আগুন সন্ত্রাস হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে, এতিমের টাকা আত্মসাৎ হয়েছে এরপর আর সাধারণ মানুষ কীভাবে তাদের ভোট দেবে? তাই মানুষ বিএনপি নেতাদের নিকট থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মানুষ তাদের বিশ্বাস করেনি। মানুষের মধ্যে আরেকটা শঙ্কায় ছিল তারা বিজয়ী হলে কে হবে, তাদের প্রধানমন্ত্রী। আবার একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে করা হলো দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এসব নিয়ে তাদের ভোটাররা শঙ্কায় ছিলেন। যাক তারা ক্ষমতায় আসেনি। ক্ষমতায় আসলে তারা গণহত্যা শুরু করে দিতো। সে জায়গা থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে। কারণ, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তারা কী পরিমাণ রেপ করেছিল তার হিসেবে নেই। এবার আসলেও তারা তাই করতো।’

আওয়ামী লীগের জয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের শিডিউলের বহু আগেই আমি জরিপ চালিয়ে দেখিয়েছি বিএনপি জয়ের সম্ভাবনা কম। এরপর আমরা বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা দিয়ে জরিপ চালিয়ে, গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট দেখে প্রার্থী দিয়েছি।’ যে কারণে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছে বলেও শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন।

সারাবাংলা/এনআর/এমএনএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর