সৈয়দ আশরাফের কুলখানিতে মানুষের ঢল
৮ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৪৯
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কুলখানিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ উপস্থিত হয়েছেন বিপুল পরিমাণ সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) বাদ আসর রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে এই কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়।
কুলখানি উপলক্ষে অফিসার্স ক্লাবের ফাঁকা জায়গায় বিশাল সামিয়ানা টাঙিয়ে মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়। পরে আগতদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় সামিয়ানার বাইরেও চেয়ার দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় মিলাদ মাহফিল শুরু হয়ে শেষ হয় ৫টায়।
মিলাদ মাহফিল শেষে সৈয়দ আশরাফের রুহের শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া, ১৫ আগস্ট নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য শহীদদের এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
সৈয়দ আশরাফ স্মরণে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন সৈয়দ আশরাফের ভাই সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, সৈয়দ শরীফুল ইসলাম, বোন রূপা ও লিমা, চাচাত চাই সাফায়েতুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এছাড়া, ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, ১৪ দল নেতা দীলিপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক ড. অবদুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিচারপতি, আইনজীবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন এই আয়োজনে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফ ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। চিকিৎসাধানী অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ৬৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি। গত ৬ জানুয়ারি রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে।
সৈয়দ আশরাফ দুই মেয়াদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০০৮ সাল পরবর্তী সময়ে তিনি জনপ্রশাসন ছাড়াও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/টিআর