Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কার্বন নিঃসরণ সবচেয়ে বেড়েছে


৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫২

।। সারাবাংলা ডেস্ক।।

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কার্বন নিঃসরণের হার ৩.৪ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে রোডিয়াম গ্রুপ নামে স্বাধীন এক অর্থনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গত তিন বছরের কার্বন নিঃসরণ মাত্রা কমিয়ে আনলেও তা ধরে রাখতে পারেনি দেশটি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আট বছরে এটাই যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ কার্বন নিঃসরণ।

রোডিয়ার গ্রুপ বলছে, কার্বন নিঃসরণের এই ঊর্ধ্বগতির অর্থ, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আমেরিকা ২০২৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের যে মাত্রা প্রতিজ্ঞা করেছে তা অর্জন করতে তারা ব্যর্থ হবে।

২০১৫ সালে প্যারিসে হওয়া জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি একটি পর্যায়ে বেঁধে রাখার উদ্যোগে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এ চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের তাপমাত্রা যেন প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি না হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ১৮৮টি দেশ প্যারিস চুক্তিতে সমর্থন দেয়। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই চুক্তির সমর্থনকারী বিশ্বনেতাদের অন্যতম।

প্যারিস চুক্তিতে ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কার্বন নিঃসরণের মাত্রা ২০০৫ সালের থেকেও ২৬ শতাংশ কমানোর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ওবামা। সে অনুযায়ী আগামী সাত বছরে প্রতি বছর আমেরিকাকে ২.৬ শতাংশ করে, সম্ভব হলে আরও বেশি হারে কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথা ছিল।

কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনি ইশতেহারেই প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। নির্বাচিত হবার পরে ২০১৭ সালের জুন মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন, যা নিন্দিত হয় সারাবিশ্বে।

বিজ্ঞাপন

এই চুক্তি থেকে সরে আসার বিষয়ে ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, চুক্তিটির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির ৩ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ৬৫ লাখ চাকরির সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে। আর এই সুযোগ লুফে নিচ্ছে চীন ও ভারত। ট্রাম্প শুরু থেকেই তার রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘আমেরিকাই প্রথম’ নীতিতে অটল।

রোডিয়াম গ্রুপ তাদের এ গবেষণার কাজে আমেরিকার এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের উপাত্ত ব্যবহার করেছে। গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্ট নামে আরেকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায়ও যুক্তরাষ্ট্রের কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি সম্পর্কে একই রকমের ফলাফল এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ। গত বছর দেশটির রেকর্ড সংখ্যক কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও এই কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেড়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হয়তো কার্বন নিঃসরণের মাত্রা এত বাড়বে না। তবে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, প্যারিস চুক্তি অর্জন করতে পিছিয়ে থাকবে দেশটি।

সারাবাংলা/এমএ/এসএমএন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর