‘গণপিটুনিতে’ মৃত্যুর ঘটনায় কাউন্সিলরসহ ১৭৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যুর ঘটনায় সিটি করপোরেশনের এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ১৭৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহত মহিউদ্দিনের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার আশিকুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, মামলায় পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবের আহমেদ সওদাগরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ মোট ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে যুবককে পিটিয়ে মারল জনতা: পুলিশ
সোমবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। এসময় বাজারের অসংখ্য ব্যবসায়ী বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে মহিউদ্দিন সোহেলের চাঁদাবাজি এবং রেলওয়ের জায়গা দখল করে অফিস বানানোর অভিযোগ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ‘হাতজোড় করে বলছি, আমার ভাই চাঁদাবাজ না’
তবে মঙ্গলবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মহিউদ্দিন সোহেল কোন ছিঁচকে চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। তার পারিবারিক ঐতিহ্য আছে। তার সাংগঠনিক ভিত্তি ছিল। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন।
মহিউদ্দিন সোহেল তার জন্মস্থান পাহাড়তলীকে ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত’ করার কাজে হাত দিয়েছিল বলে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে তার ছোট ভাই শিশির বলেন, ‘স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের সওদাগরের নেতৃত্বে-কর্তৃত্বে ও সাবেক জামায়াত নেতা, বর্তমানে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা অনৈতিক ব্যবসার আখড়া ভেঙ্গে দিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর জন্য জানাযা ও নামাজের মাঠ করে দিয়েছিল। এতে মহিউদ্দিন সোহেল স্থানীয় ভূমিদস্যু, মাদক ও অনৈতিক ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়েন।’
মহিউদ্দিন সোহেল চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিরও নেতা ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ