সাভারে আজও রাস্তায় পোশাক শ্রমিকরা, ৪ কারখানা বন্ধ
৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:৩১
।।ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
সাভার: ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে সাভার ও আশুলিয়ায় রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে আন্দোলন করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। সাভারের উলাইল, গেন্ডা, থানা রোড এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নেমে আসে শ্রমিকেরা। তখন কিছু এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। আন্দোলনের মুখে চারটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক শানা শামীনুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) শ্রমিকদের এ আন্দোলন টানা চতুর্থ দিনের মতো গড়ালো। গত চারদিন কারখানাগুলোতে উৎপাদন বন্ধ থাকায় মালিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে, শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে সাভার ও আশুলিয়ায় প্রায় চারটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা কারখানাগুলো হলো- সাভারের উলাইল ও হেমায়েতপুরের বাগবাড়ির স্টান্ডার্ড গ্রুপের তিনটি ও আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড।
শিল্প পুলিশ জানায়, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সকালে টানা চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে নামে সাভারের বিভিন্ন পোশাক কর্মীরা। এ সময় সাভারের গেন্ডা এলাকার স্টান্ডার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের সময় তারা কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এমন পরিস্থিতিতে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ওপর পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সড়ক থেকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।
অন্যদিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় টেক্সটাউন গার্মেন্টসসহ প্রায় পাঁচটি গার্মেন্টস এর শ্রমিকরা বিশমাইল জিরাবো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। শ্রমিক বিক্ষোভের জের ধরে আজ ওই চারটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানার মূল ফটকে নোটিশ টাঙিয়ে দেয় মালিকক্ষ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পোশাক কারখানা গুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের জলকামান ও সাজোয়া যান।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক শানা শামীনুর রহমান বলেন, পোশাক কারখানাগুলোতে কাজের গতি ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ মালিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে যাচ্ছে।
গত সপ্তাহ থেকে রাজধানীর উত্তরা, সাভার ও আশুলিয়ার এবং গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছিল। গতকাল মঙ্গলবার মজুরি নিয়ে অসন্তোষ-বিক্ষোভের মধ্যে সুমন মিয়া নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভরত শ্রমিকেরা গতকাল দাবি করেন, পুলিশের গুলিতে তিনি মারা গেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল নতুন মজুরি কাঠামো নিয়ে পোশাকশ্রমিকদের ১২ সদস্যের একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করা হয়।
সারাবাংলা/এমএইচ