৪ তরুণীকে আড়াই মাস আটকে রেখে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেফতার ২
১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:১২
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
ফেনী: ফেনীতে চার তরুণীকে আড়াই মাস ধরে আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ-নির্যাতনের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার এক তরুণী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) ফেনী শহরের রামপুর এলাকার ওই বাসা থেকে চার তরুণীকে উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন হালদার।
তিনি বলেন, একই সময় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বাসা থেকে ৫৩ পিস ইয়াবাসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও তরুণীদের নির্যাতনের বিভিন্ন আলামত করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চার তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে কাওসার বিন কাসেম নামে এক ব্যক্তি। বিভিন্ন স্থান থেকে ফেনী শহরের রামপুর এলাকায় একটি বাসায় দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে তাদের আটকে রাখা হয়। এরপর কাওসার ও তার সহযোগীরা ওই তরুণীদের গণধর্ষণ করত ও মাদক সেবনে বাধ্য করত। ধর্ষণে বাধা দিলে তাদের বৈদ্যুতিক শক ও সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হতো, চালানো হতো অকথ্য শারীরিক নির্যাতন।
বুধবার ওই বাসার ভেতরে তরুণীদের কান্না ও চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে তরুণীদের উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার মালিকসহ নির্যাতনকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এক তরুণী বাদী হয়ে কাওসার বিন কাসেমসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রামপুর এলাকা থেকে মো. ওমায়ের (১৯) ও আরিফুল ইসলাম প্রকাশ আরমান (৩৩) নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
এসআই সুজন হালদার জানান, অভিযানে রামপুরার ওই বাসা থেকে ৫৩ পিস ইয়াবাহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নির্যাতনের আলামত জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া মাদক উদ্ধারের ঘটনায় থানায় পৃথক মামলাও হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চার তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে তাদের ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে উপস্থিত করা হয়। এসময় তারা ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলার প্রধান আসামি কাওসার বিন কাসেমকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে বলেও জানায় পুলিশ।
সারাবাংলা/এমএইচ/টিআর