Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা, রাজধানীতে গ্রেফতার ১৩


১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৩৬

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ভুক্তোভোগী কয়েকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই চক্রের ১৩ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. এনামুল কবির সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই চক্রটি অনেকটা এমএলএম পদ্ধতির মতোই। এক্ষেত্রেও একজন যুক্ত হওয়ার পর আরও কয়েকজন ব্যক্তিকে যুক্ত করার মাধ্যমে অধিক টাকা ইনকামের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আশরাফুল ইসলাম (২৭), আল আমিন মন্ডল রতন (৩০), উজ্জল হোসেন (২৩), শিমুল মোল্লা (১৯), জহিরুল ইসলাম ওরফে পাপ্পু মিয়া (২০), আব্দুল মোমিন (২৪), শাহীন আলম (২৪), নুর আলম সিদ্দিকী (২৫), মাজেদুল ইসলাম (২৫), ইমরুল হাসান (২৩), মনিরুজ্জামান (২৪), রিঙ্কু কুমার দাস (৩০) ও অভিজিত পান্ডে (২৪)।

বিশেষ পুলিশ সুপার মো. এনামুল কবির বলেন, গত অক্টোবর মাসে লাইফওয়ে নামে একটি কোম্পানির ১৭ সদস্যকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর ওই খবরের ভিত্তিতে কয়েকজন ভুক্তভোগী সিআইডির কাছে অভিযোগ করে জানায়, রাজধানীর বারিধারা এলাকায় এরকম একটি কোম্পানি আছে যাদের কাজই হচ্ছে সহজ সরল ছেলে মেয়েদের চাকরি দেওয়ার নাম করে অফিস খুলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। টাকা নেওয়া হয়ে গেলে পরবর্তীতে তারা কোনো চাকরি না দিয়ে টালবাহানা করে। এক পর্যায়ে এমএলএম পদ্ধতির মতো আরো কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী যোগাড় করতে বলে। তাদের ফাঁদে পড়ে নিরুপায় হয়ে একটা পর্যায়ে চাকরিপ্রার্থী যোগাড় করে এনে বিনিময়ে মেলে সামান্য কিছু কমিশন। চাকরিপ্রার্থী না দিলে কমিশনও আসে না। ফলে তাদের সেখান থেকে ফিরে যেতে হয়। এভাবে শত শত ছেলে মেয়ে প্রতারণার স্বীকার হয়।

বিজ্ঞাপন

এনামুল কবির বলেন, এসব জানার পর সিআইডি তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে বারিধারার ভাটারা নতুন বাজার এলাকার প্রাইম অর্কেড বিল্ডিংয়ের পঞ্চম তলা থেকে এক্সিলেন্ট ট্রেড মার্কেটিং লিমিটিড নামে একটি কোম্পানির অফিসে অভিযান চালিয়ে ১৩ জন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে, কোম্পানির প্যাডে ১১৫টি অঙ্গীকার নামা, কোম্পানির নামে পূরণ করা ৪২টি আবেদনপত্র ও এগ্রিমেন্ট ফরম এবং পূরণকৃত ৩০ টি ট্রেডিং কার্ড জব্দ করা হয়।

সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা স্বীকার করেছে যে, একজন চাকরিপ্রার্থী ভর্তি হলে তার মাধ্যমে আরেকজন সদস্য সদস্য সংগ্রহ করে। এভাবে তারা অনেক চাকরিপ্রার্থীকে ভর্তির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এক  প্রশ্নের জবাবে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, কারও কাছে ৩০ হাজার, কারও কাছে ৪৫ হাজার, কারও কাছে ৮০ হাজার আবার কারও কাছে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে ১৩০ জনের কাছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এর পেছনে আরও কোনো চক্র জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় ১৮ জনের নামে মামলা হলেও বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই চক্রের মূল হোতাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় সবকিছু জানা গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সারাবাংলা/ইউজে/এসএমএন

প্রতারক চক্র সিআইডি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর