বাণিজ্যমেলা: কাজ শেষ হয়নি বহু স্টলের
১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:১৯
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০১৯ শুরু হলেও সব স্টলের কাজ এখনও শেষ হয়নি। ছোট-বড় বহু স্টলেই শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জার কাজ চলছে। আর বিদেশি প্যাভিলিয়নগুলো এখনও ফাঁকা। এর কোনো কোনোটিতে এখনও কাজই শুরু হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরোদমে এসব স্টলের কার্যক্রম শুরু হতে লাগবে আরও এক সপ্তাহ।
মেলার দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। তবে সব স্টলের কাজ শেষ না হলেও মেলায় কমবেশি দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছেন।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উপপরিচালক ও বাণিজ্যমেলার সদস্য সচিব আবদুর রউফ সারাবাংলাকে বলেন, বিদেশি স্টলের কার্যক্রম শুরু হতে সবসময় একটু দেরি হয়। বিদেশি মালপত্র আনতে কাস্টমসে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। আমরা এরই মধ্যে কাস্টমসকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্যে সবাই পুরোদম কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। মেলা শুরু পর প্রথম ছুটির দিন শুক্রবারই মেলা জমে উঠবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় নামিদামি বহু স্টল পুরো প্রস্তুত। এসব স্টল থেকে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ক্রেতাদের মনযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। কোনো কোনো স্টলে চলছে মালপত্র সাজানোর কাজ। প্যাভিলিয়ন বা স্টল তৈরির কাজও করছেন কর্মীরা। কয়েকটি স্টলের কর্মকর্তারা জানালেন, কিছু কিছু স্টল প্রস্তুত করতে আরও তিন থেকে চার দিন লাগবে।
মেলায় ঘুরতে আসা মিরপুরের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, প্রায় গোটা মেলা ঘুরে দেখলাম। এখনও সব স্টল প্রস্তুত নয়। তবে মেলার পরিবেশ দেখে ভালোই লাগছে।’ ফার্মগেট থেকে আসা তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী নবনিতা বলেন, বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। সবাই মিলে আনন্দ করছি। তবে সব স্টল বা প্যাভিলিয়নের কাজ শেষ হয়নি।
মেলায় মেট্রো রেলের আদলে তৈরি মূল ফটক দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে ডিজিটাল এক্সিপেরিয়েন্স সেন্টার। চারটি টাচ স্ক্রিন কম্পিউটার রয়েছে এতে। দিকনির্দেশনা দিতে রয়েছেন একজন কর্মকর্তাও। এই সেন্টারে ঢুকে যে স্টল বা প্যাভিলিয়নে যেতে চান তার অবস্থান জেনে নেওয়া যাবে সহজে। ডিজিটাল উন্নয়নকে জানান দিতে আধুনিক এই পদ্ধতির সংযোজন এবারের মেলায়।
এছাড়া, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সবই তুলে ধরা হয়েছে মেলায়। গতবারের মতো এবারও আছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। এর সামনে সারি সারি সাজানো নৌকা। ভেতরেও এবার স্থান বেশি। বরাবরের মতোই এবারের মেলাতেও ইপিবি’র তথ্যকেন্দ্র, বিশ্রামস্থল, রক্তদান ও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রও রয়েছে।
মেলা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২২ দেশের ৫২ প্রতিষ্ঠান এবার মেলায় অংশ নিয়েছে। দেশগুলো হলো— থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম,যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মারিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।
ইপিবি জানিয়েছে, ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া মেলা শেষ হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের মেলায় স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৬০৫। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য মেলায় রয়েছে পর্যাপ্ত সবুজ চত্বর। বিশ্রামের জন্য আছে আরামদায়ক ও শোভন বেঞ্চ। মেলা প্রাঙ্গণ হকার ও ভিক্ষুকমুক্ত। শিশুদের বিনোদনের জন্য আছে শিশু পার্ক। রয়েছে মা ও শিশু কেন্দ্র। আর খাদ্যদ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণে আছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে পৃথক বুথ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর