পুলিশ দিয়ে পোশাক খাতের অসন্তোষ দমন করা যাবে না: জার্মান দূত
১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:১৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: চলমান পোশাক খাতের অসন্তোষ মেটাতে শান্তিপূর্ণ সমাধান চান ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারহানহল্জ। তিনি বলছেন, পুলিশ দিয়ে নয় বরং পোশাক খাতের মালিকেরা পোশাককর্মীদের জন্য ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং সুস্থ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করলেই অসন্তোষ মিটে যাওয়ার কথা।
জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারহানহল্জ বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) এক বার্তায় বলেন, ‘আমি চলমান পোশাক খাতের অসন্তোষ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পক্ষে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে কখনোই পোশাক খাতের অসন্তোষ দমন করা যাবে না। অসন্তোষ দমনে এই খাতের মালিকপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। পোশাক কর্মীদের জন্য ন্যায্য বেতন কাঠামো এবং সুস্থ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’
পিটার ফারহানহল্জ বলেন, ‘পোশাক খাতের কর্মীদের জন্য ঝুঁকি বীমার প্রচলন শুরু করতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে লুকোচুরি করলে হবে না।’
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির অন্যতম প্রধান বাজার জার্মানি। গেল ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জার্মানিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৫৮ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারি, সন্ধ্যা পৌনে ৬টা) পোশাক খাতের অসন্তোষ মেটাতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সরকার, মালিক ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠক চলছিল।
এর আগে, গত বুধবার (৯ জানুয়ারি), শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ন্যাম ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পোশাক খাতের কর্মীদের মধ্যে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা ভুল বোঝাবুঝির কারণে সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ন্যূনতম যে বেতন ঠিক করে দিয়েছে আর মালিকপক্ষ যে বেতন দিচ্ছে তাতে কোথাও যোগ-বিয়োগের ভুল হতে পারে। এছাড়া শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষের পেছনে রাজনৈতিক কোনো ইন্ধনও থাকতে পারে।’
উল্লেখ্য, নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পরিশোধের দাবিতে গত ৬ জানুয়ারি উত্তরায় সড়ক অবরোধ করেন পোশাক শ্রমিকরা। টানা পাঁচদিনের অব্যাহত কর্মসূচিতে এ খাতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি তারা পাচ্ছেন না।
এদিকে, শ্রমিক অসন্তোষের জেরে পোশাক মালিকরা কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
সারাবাংলা/জেআইএল/একে