গণপিটুনি: জাপা নেতা রিমান্ডে, গ্রেফতার আরও ৪
১০ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:২১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সদস্য ওসমান খানকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। একই মামলায় পুলিশ আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহান খান পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে ওসমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নগরীর ডবলমুরিং থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, ওসমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিলাম। আদালত ৫দিন মঞ্জুর করেছেন। গ্রেফতার হওয়া আরও চারজনকে আগামীকাল (শুক্রবার) আদালতে পাঠানো হবে।
গ্রেফতার হওয়া চারজন হলেন- এজাহারভুক্ত আসামি আজাদ (২৯), মামুন (২৩) ও মোবারক হোসেন (২৫) এবং তদন্তের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জড়িত সাহাবউদ্দিন (৩৫)।
নগরীর পাহাড়তলী বাজারের আশপাশে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
গ্রেফতার হওয়া চারজন নগরীর সরাইপাড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবের আহমদ সওদাগরের অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
গত সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকালে নগরীর ডবলমুরিং থানার পাহাড়তলী বাজারে মহিউদ্দিন সোহেলের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ব্যবসায়ী ও জনতা মিলে মহিউদ্দিন সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মহিউদ্দিন সোহেল কোনো ছিঁচকে চাঁদাবাজ কিংবা সন্ত্রাসী ছিলেন না। জন্মস্থান পাহাড়তলীকে ‘সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত’ করার কাজে হাত দিয়ে তিনি কাউন্সিলর সাবের সওদাগর ও ওসমান খানের রোষানলে পড়েছিলেন।
এরপর মঙ্গলবার রাতে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে নগরীর ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহমদ সওদাগর ও সদস্য ওসমান খানসহ ২৭ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওসমান খানকে নগরীর পাহাড়তলী বাজার এলাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মহিউদ্দিন সোহেল চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিরও নেতা ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে