Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেরোবিতে দেড় হাজার শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয়


১১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:৩৫

।। রাব্বী হাসান সবুজ, বেরোবি প্রতিনিধি।।

রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের অধীনে ২১ বিভাগে এক হাজার ৩১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান।

বৃহস্পতিবার ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এমন এক কার্যক্রম হাতে নেয় স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মাত্র দুই ঘণ্টায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছে বাঁধন বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট।

বাঁধন সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সাক্ষাৎকারের পর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি সম্পন্ন হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা দেওয়া দেওয়া হয় প্রতি শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বাঁধনের নিকট থেকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে বাঁধনের দেওয়া স্লিপ নিয়ে ভর্তির ফরমে রক্তের গ্রুপ লিখতে হবে এবং ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সঙ্গে অবশ্যই বাঁধনের দেওয়া স্লিপ জমা দিতে হবে।

রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের সময় বাঁধনের কার্যকরী সদস্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ সৌরভের সঙ্গে কথা হয়।

তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা নতুন ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে সক্ষম হই। অনেক শিক্ষার্থীই তাঁর নিজ রক্তের গ্রুপ জানেন না এবং ভর্তির সময় রক্তের গ্রুপ লেখে না। রক্তের গ্রুপ না জানার কারণে আইডি কার্ডেও অন্তর্ভুক্ত হয় না রক্তের গ্রুপ তাই বাঁধনের মাধ্যম দিয়ে টেস্ট করে ভর্তিতে সহযোগিতা করেছে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করার সময় সময় দেখা যায় বাঁধনের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. একে এম ফরিদ-উল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. গাজী মাজহারুল আনোয়ার এসে খোঁজখবর নেন কার্যক্রম সম্পর্কে। সে সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তারা। বাঁধনের কার্যক্রম দেখতে ভিড় জমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বাঁধন বেরোবি ইউনিট জোনাল প্রতিনিধি তাওহীদ মো. ফয়সালুল বারী সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেড় হাজার শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে পেরে ভালো লাগছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ‘মানুষের জীবন বাঁচাতে বাঁধন যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তা প্রশংসার দাবিদার।’

১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধন প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালে বেরোবিতে বাঁধনের শাখা চালু হয়। বর্তমানে সারাদেশে ৫০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে বাঁধনের শাখা কাজ করছে।

সারাবাংলা/একে

বাঁধন বেরোবি রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর