নানা আয়োজনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন
১২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৪৪
।। জাবি করেসপন্ডেন্ট ।।
দেশের অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপিঠ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) পেরিয়ে এলো ৪৮ বছর। ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তবে দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি মাত্র চারটি বিভাগ ও ১৫০ জন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সে হিসেবে শনিবার (১২ জানুয়ারি, ২০১৯) ৪৯তম বছরে পা রেখেছে জাবি।
শনিবার দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী হাতে নিয়েছে জাবি প্রশাসন। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে দুপুরে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুতুল নাট্য, বিকেলে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় লোকসঙ্গীত সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত শিল্পী মমতাজ এর একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। এছাড়া সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে চলছে পিঠামেলা।
সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। উদ্বোধনের আগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।
এসময় উপাচার্য বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছর পেরিয়ে ৪৯ বছরে পা রাখছে। এই সময়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে যে সম্মান অর্জন করেছেন তাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিবিদ্যালয়ের গৌরব বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে ৫০ বছরে পা রাখবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের এখন ভাবতে হবে ৫০বছরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে কিরকম দেখতে চাই? আপনার জানেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা উন্নয়ন প্রকল্প পেয়েছি। এই প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১৮ শত ৪৫ কোটি টাকা এসেছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য এত টাকা দেয়া হবে তা আমরা স্বাধীনতার পর ভাবতে পারিনি। এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি হল হবে, অন্যান্য আবাসিক ভবন হবে, স্পোর্টস কমপ্লেক্স হবে। আরো অনেক ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। আমরা আশা করছি ৫০বছরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে পাব।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে বিজনেস স্ট্যাডিজ অনুষদের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়।
সারাবাংলা/এসএমএন