খাদ্যে ভেজাল প্রমাণ হলে জেল: সাঈদ খোকন
১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:০১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঘোষণা দিয়েছেন, খাদ্যে ভেজাল প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
রোববার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় ধানমন্ডি এলাকায় ডিএসসিসির পক্ষ থেকে খাদ্যে ভেজালবিরোধী স্পেশাল ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল বন্ধে আর্থিক জরিমানাটা খুব বেশি সুফল বয়ে আনছে না। আমরা আস্তে আস্তে আরও কঠোর হতে চাই। খাদ্যে ভেজাল কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। এখন থেকে খাদ্যে ভেজাল প্রমাণিত হলে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করব, প্রতীকী হলেও করব।’
২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর খাদ্যে ভেজাল বন্ধে জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস হয়। সে বিল অনুযায়ী খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর প্রমাণ পাওয়া ফেলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
পরে ২০১৫ সালে নিরাপদ খাদ্য আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিতে মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলের ২৯ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়। যেখানে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ অন্তর্ভুক্ত করে সরকার। এরপরেও খাবারে ভেজাল বন্ধ হয় না। একই দোকানে পরপর কয়েকবার অভিযান চালিয়ে একই অনিয়ম পাওয়া যায় নিত্যই। যারা খাবারে ভেজাল করেন, তাদের বিরুদ্ধে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে মেয়র বলেন, ‘খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থা অভিযানে নেমেছে। আমরাও নিয়মিত কাজ অব্যাহত রেখেছি।’
অভিযানে সিটি করপোরেশন ছাড়াও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, র্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র জানান, সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ডিএসসিসির এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টার কাবাবকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা: উদ্বোধন শেষে মেয়র ধানমন্ডির স্টার কাবাবে ঢুকে তাদের খাবারের মান যাচাই করেন। রান্নাঘরের পরিবেশ ভালো না থাকায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় স্টার কাবাবকে।
ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ মো. সালাহ্ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্টার কাবাবের রান্নাঘরের পরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এর ভাঙা টাইলস, স্যাতস্যাতে মেঝে খাবারে জীবাণু সংক্রামণের কারণ হতে পারে।’
সারাবাংলা/এমএ/একে