ফিলিস্তিনে সহায়তা কমিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি
১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৩২
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
ফিলিস্তিনের জন্য নির্ধারিত সহায়তার পরিমাণ কমিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের জন্য এ সহায়তা কমানো হয়েছে। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অর্থায়ন সংকটের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
উল্লেখ্য, ডব্লিউএফপি হচ্ছে জাতিসংঘের একটি শাখা সংস্থা এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও ক্ষুধা বিষয়ক বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানবাধিকার সংগঠন।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ডব্লিউএফপি’র পরিচালক স্টিফেন কিয়ারনে রোববার (১৩ জানুয়ারি) বলেন, সহায়তা বন্ধ হওয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে পশ্চিম তীরে ডব্লিউএফপি’র ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না প্রায় ২৭ হাজার ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় ১ লাখ ১০ হাজার মানুষসহ মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি মূল সহায়তার ৮০ শতাংশ পাচ্ছেন।
বিগত চার বছর ডব্লিউএফপি’তে অনুদানের পরিমাণ কমছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানের পরিমাণ। যার ফলস্বরূপ এই ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় এই কাটতি।
২০১৮ সালে ডব্লিউএফপি গাজায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ও পশ্চিম তীরে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষকে সহায়তা প্রদান করেছে।
এদিকে সহায়তার পরিমাণ কমায় হ্রাস নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছেন না অনেক ফিলিস্তিনি। পশ্চিম তীরের ইয়াত্তা গ্রামের ৫২ বছর বয়সী বাসিন্দা মাহা আল-নাওয়াজাহ বলেন, ডিসেম্বরে তারা আমার (ডব্লিউএফপি) কার্ড নবায়ন করে দেয়নি।
উল্লেখ্য, ডব্লিউএফপি কার্ড ব্যবহার করেই নিজের ১২ সদস্যের পরিবারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেন মাহা। তিনি জানান, তারা পরিবারের প্রায় সকল সদস্যই বেকার।
তিনি বলেন, আমার ছেলেদের ইসরাইলে যাওয়ার অনুমতি নেই। আমার স্বামী কখনো কখনো যেতে পারে। ওই সময়গুলোতে তিনি কিছু অর্থ উপার্জন করেন।
প্রসঙ্গত, পশ্চিম তীরে বেকারত্বের হার মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ। এর মধ্যে কিছু ফিলিস্তিনি উচ্চ বেতনের আশায় ইসরাইলে কাজ খোঁজে। কিন্তু সেখানে কাজ করার জন্য ইসরাইলী কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে। আর এসব ক্ষেত্রে খুব সতর্কভাবে প্রার্থী বাছাই করে ইসরাইল।
এদিকে, ১৯ ডিসেম্বর থেকে বিশ্বজুড়ে অনুদানের আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএফপি। কিন্তু এখনো তাদের অপ্রতুলতা কাটেনি। সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের আরও ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলারের প্রয়োজন।
সারাবাংলা/ আরএ