আজ আদালতে হাজির করা হতে পারে খালেদা জিয়াকে
১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:০৪
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে থেকে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে হাজির করা হতে পারে।
গত ১০ জানুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারের বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার শুনানি শেষে খালেদা জিয়াকে হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। বুধবার মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে।
গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু গত শুনানিতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল তাই বুধবার তাকে আদালতে হাজির করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি যদি রাজি থাকেন তবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে হাজির করা হবে।
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে থেকে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে হাজির করা হতে পারে।
লালবাগ জোনের পুলিশ কর্মকর্তা সানোয়ার সারাবাংলাকে জানান, বুধবার খালেদা জিয়াকে হাজির করার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে কারাগার থেকে বকশীবাজার বাজার পর্যন্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই এলাকায় যান চলাচলও শিথিল রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরাতন কেন্দ্রীয় কাগারের সামনে, বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসার মোড় এবং মাদ্রাসার প্রবেশপথসহ বেশ কয়েকটি স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের তল্লাশী পেরিয়ে পথ চলতে হচ্ছে।
জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পন করে জামিন পান খালেদা জিয়া।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ প্রাক্তন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গ্যাটকো মামলায় খালেদাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ
২৪ আসামির মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো এবং বিএনপি নেতা এমকে আনোয়ার মারা গেছেন। মামলাটিতে বর্তমান আসামির সংখ্যা ২০ জন।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, প্রাক্তন নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, প্রাক্তন মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন।
সারাবাংলা/এআই/ইউজে/এসএমএন