Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আইনজীবীদের সহায়তা চাইলেন বিচারক


১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:১৩

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আইনজীবীদের সহায়তা চাইলেন বিচারক।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে শুনানির মধ্যে আইনজীবীদের লক্ষ্য করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এ কথা বলেন।

বিচারক শুনানির সময় আইনজীবীদের বলেন, মামলাটি হাইকোর্টে দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত ছিল। আপনারা এখনো চার্জ পিটিশন দাখিল করবেন বলে সময় চাচ্ছেন? এর আগে পিটিশন দিতে পারতেন? এই মামলাটি হাইকোর্ট ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। এজন্য আপনারা (আইনজীবীরা) সহযোগিতা করবেন।

আজ মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকার কারণে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিচারক চার্জ শুনানির জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।

এদিন, আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলাটি দীর্ঘদিন চার্জ শুনানির জন্য রয়েছে। এখন তা সম্পূর্ণরুপে প্রস্তুত রয়েছে।

অপরদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানিতে বলেন, চার্জ শুনানির জন্য প্রত্যেক আসামির উপস্থিত থাকার দরকার রয়েছে। একজন অনুপস্থিত থাকলে চার্জ শুনানি করা যায়না। খালেদা জিয়া অসুস্থ রয়েছেন, সুস্থ হলে আদালত উপস্থিত হবেন। এজন্য সময়ের আবেদন জানান।

এরপরে, বিচারক অন্যান্য আসামি পক্ষের আইনজীবীদের চার্জ শুনানি করার জন্য বলেন। খালেদা জিয়া ছাড়া আসামিপক্ষের অন্য আইনজীবীরা চার্জ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন করে দিন ঠিক করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলাটিতে জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পন করে জামিন পান খালেদা জিয়া।

গত ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ প্রাক্তন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২৪ আসামির মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো, এমকে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম এবং বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম মারা গেছেন। মামলাটিতে বর্তমান আসামির সংখ্যা ১৭ জন।

অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, প্রাক্তন নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, প্রাক্তন মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/জেএএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর