ডিএনসিসি’র উপনির্বাচন হতে পারে মার্চে
১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:০৭
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচন আগামী মার্চে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাঝেই সম্পন্ন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসি নির্বাচনের ব্যাপারে কমিশনারদের সঙ্গে বসবো। তবে উপজেলা নির্বাচনের ফিল্ডেই এটা হয়ে যাবে। এতে উপজেলা নির্বাচনের কোনো প্রভাব পড়বে না।’ বুধবার (১৬ জানুয়ারী) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে নবনিযুক্ত কর্মচারীদের ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে সনদ প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, মার্চে উপজেলা নির্বাচনে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসন, ৪৯২টি উপজেলা পরিষদ এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সঙ্গে এবার নতুন করে যুক্ত হলো ডিএনসিসির উপনির্বাচন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে মেয়র পদ শূন্য হয়। এই পদটির ভোটের তফসিল ঘোষণার পর সিটির সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে আর কোনো বাধা নেই বলেই মনে করছেন ইসি সংশ্লিষ্টরা।
রিট খারিজের রায়ের পর বুধবার বিকেলে ইসি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি রয়েছে। রায়ের কপি ইসিতে আসার পর এ বিষয়ে কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খুব শিগগিরই এ নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। মার্চে শুরু হওয়া উপজেলা নির্বাচনের মাঝেই এটি সেরে ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
রিট খারিজের আদেশের পর বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সিইসি বলেন, ভোটের বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সঙ্গে বসতে হবে। আমরা তাড়াতাড়ি এ নির্বাচন করে ফেলব।
এর আগে আগামী মাসের (ফেব্রুয়ারি) প্রথম সপ্তাহে তফসিল দিয়ে মার্চের প্রথম থেকে পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।
আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ধার্য রেখে তফসিল দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং তফসিলের কার্যকরিতার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
তাদের আবেদনের ওপর শুনানি করে গতবছর ১৭ জানুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়। ওই নির্বাচনের তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করা হয়। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে গেলে সেখানে হাইকোর্টের দেয়া রুল ‘দ্রুত নিষ্পত্তির’ আদেশ আসে।
পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার বিষয়টি রুল শুনানির জন্য বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে ওঠে। কিন্তু রিটকারী বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কেউ আদালতে না থাকায় আদালত রুল খারিজ করে দেয়।
গত বছরের ৯ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন ধার্য রাখা হয়েছিল।
সারাবাংলা/এমএইচ