মেঘনায় ট্রলার ডুবি: ২০ শ্রমিক এখনো নিখোঁজ
১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:০১
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে তিন দিনেও খোঁজ মেলেনি ২০ শ্রমিকের। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রাত তিনটায় গজারিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিপুরায় একটি ট্যাংকারের ধাক্কায় ৩৪ জন শ্রমিক নিয়ে মাটি বোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ১৪ জন সাঁতরে তীরে উঠছে। বাকি ২০ জন শ্রমিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। নৌ পুলিশের অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, ট্রলারটি মাটি নিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যাচ্ছিলো। পথে একটি ট্যাংকারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৩৪ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এতে নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নৌ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান জানান, নৌ দুর্ঘটনাটি রাতে হওয়ায় সঠিক স্থানটি শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে। সকল প্রকার ট্যাকনিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে। সাঁতরে কোন শ্রমিক পাড়ে উঠছে কি না সেটাও খেয়াল রাখা হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ট্রলারের নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় জানা গেছে। এরা হচ্ছেন- পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুন্ডুমালা গ্রামের গোলাই প্রমাণিকের ছেলে সোলেমান হোসেন, জব্বার ফকিরের ছেলে আলিফ হোসেন ও মোস্তফা ফকির, গোলবার হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন, আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন, নুর ইসলামের ছেলে মানিক হোসেন, ছায়দার আলীর ছেলে তুহিন হোসেন, আলতাব হোসেনের ছেলে মো. নাজমুল, লয়ান ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম, দাসমরিচ গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী ও মান্নাফ আলী, তোজিম মোল্লার ছেলে মোশারফ হোসেন, আয়ান প্রামাণিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন, সমাজ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, মাদারবাড়িয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজাদ হোসেন, চন্ডিপুর গ্রামের আমির খান ও আব্দুল লতিফের ছেলে হাছান আলী এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রহমত আলী।
সারাবাংলা/ওএম/এমএইচ