Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাণিজ্য মেলায় সাড়া ফেলেছে ‘ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’


১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৪৬

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় স্টল বা প্যাভিলিয়নের অবস্থান জানতে সাড়া ফেলেছে ‘ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’। মেট্রোরেলের আদলে তৈরি মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পরই চোখে পড়বে সেন্টারটি। সেখানে সব সময় লেগে থাকছে দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে ভিআইপি গেটের কাছে বাণিজ্য মেলার অস্থায়ী সচিবালয় কেন্দ্রের পাশে স্থাপিত আরেকটি সেন্টারে ভিড় কম। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) মেলার নবম দিনে প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

মিরপুর থেকে এসেছেন বরিশাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী এম নিয়াজ। ভিআইপি গেটের পাশে অবস্থিত ‘ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার’ থেকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের অবস্থান জেনে নিচ্ছিলেন। সারাবাংলাকে নিয়াজ বলেন, ‘দেশ ডিজিটাল উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সেন্টারটিও তার প্রতিফলন। সহজেই স্টলের অবস্থান জানতে পেরেছি, পেয়েছি পথচলার দিক-নির্দেশনা। বিষয়টি খুবই ইতিবাচক।’

একই সেন্টারে উত্তরা থেকে আসা গৃহিনী মারিয়া আক্তার বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও স্টলের অবস্থান জানতে অনেক বেগ পোহাতে হতো। অ্যানালগ পদ্ধতির দিক-নির্দেশনা খুব একটা কাজে আসতো না। অথচ এখন কম্পিউটার স্ক্রিনে পুরো দিক-নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে। কোন পথে যেতে হবে তাও দেখিয়ে দিচ্ছে।’

মূল ফটকের সামনের ডিজিটাল এক্সিপিরিয়েন্স সেন্টারে কথা হয় আরও কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে। তাদের একজন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী অমিত। বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় ঘুরতে এসেছেন। অমিত বলেন, ‘এসএমই ফাউন্ডের স্টলের অবস্থান সেন্টারটি থেকে খুব সহজেই জেনে নিয়েছি। বন্ধুরা মিলে ইগলুর আইস্ক্রিম খাবো, সেই স্টলটি কোথায় তাও দেখে নিয়েছি। ইলেক্ট্রনিক্সের প্যাভিলিয়নের অবস্থানও জানতে পেরেছি। স্ক্রিনে আঙ্গুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে প্যাভিলিয়নের দিকনির্দেশনা পেয়ে খুব ভালো লেগেছে।’

বিজ্ঞাপন

তবে ধামরাই থেকে আসা বেসরকারি কর্মজীবী তুহিন বলেন, ‘সেন্টারটি তেমন ইউজার ফ্রেন্ডলি নয়। ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক কি-বোর্ড আসার কথা। কিন্তু তা আসছে না। আরেকজনের সাহায্য নিতে হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি আরও উন্নত হওয়া উচিত।’

এবারের মেলায় থাকা দু’টি ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের দায়িত্বে রয়েছে ভ্যালিকন ডিজিটাল। মেলার পুরো অনলাইন সেবাও দেখছে প্রতিষ্টানটি। ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে দর্শনার্থীদের সাড়া বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইমরান মাহমুদ শামীম সারাবাংলাকে বলেন, ‘দর্শনার্থীদের মধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্টলের অবস্থান জানার ক্ষেত্রে বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মূল ফটকের কাছের ডিজিটাল এক্সপিরিয়েন্স সেন্টারটিতে সব সময় ভিড় লেগে থাকছে। তবে ভিআইপি গেটের সেন্টারটিতে দর্শনার্থীর সমাগম কম।’

এক প্রশ্নের উত্তরে শামীম বলেন, ‘আমরা ৯৬ শতাংশ স্টল বা প্যাভিলিয়নের অবস্থান জানাতে পারছি। বাকিগুলোর ডাটাও আপলোডের কাজ চলছে।’

এদিকে, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সবই তুলে ধরা হয়েছে মেলায়। গতবারের মতো এবারও আছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। এর সামনে সাড়ি সাড়ি নৌকা। ভেতরেও এবার জায়গা বেশি। বরাবরের মতোই এবারের মেলাতেও ইপিবি’র তথ্যকেন্দ্র, বিশ্রামস্থল, রক্তদান ও প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রও রয়েছে।

ইপিবির তথ্যমতে, ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া মেলা শেষ হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। এবারের মেলায় স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৬০৫টি। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য মেলায় রয়েছে পর্যাপ্ত সবুজ চত্বর। বিশ্রামের জন্য আছে আরামদায়ক বেঞ্চ। মেলা প্রাঙ্গন হকার ও ভিক্ষুক মুক্ত। শিশুদের বিনোদনের জন্য আছে শিশু পার্ক, রয়েছে মা ও শিশু কেন্দ্র। আর খাদ্যদ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণে আছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পৃথক বুথ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর