১৮ হাজার টাকা জাতীয় ন্যূনতম মজুরির দাবি
১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ১৪:৪৭
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: জাতীয় পর্যায়ে শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম ১৮ হাজার টাকা মজুরির দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, দেশের শ্রমজীবীদের অধিকারবঞ্চিত রেখে গণতন্ত্র অর্জন করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি শ্রমিকদের শ্রমে দেশের অর্থনীতি গড়ে উঠলেও তাদের মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের জন্যও জাতীয়ভাবে ন্যূনতম ১৮ হাজার টাকা মজুরি নিশ্চিত করা উচিত।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশ থেকে বক্তারা এ দাবি জানান।
সমাবেশে ১৮ হাজার টাকা জাতীয় ন্যূনতম মজুরির পাশাপাশি গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, মজুরি গ্রেড ও মাতৃত্বকালীন ছুটির বৈষম্য দূর করা, সড়ক পরিবহন আইনের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারা বাতিল, শ্রমিক ছাটাই, গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের ৬ কোটি ৩৫ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষকে অধিকার বঞ্চিত রেখে দেশে গণতন্ত্রের কথা বলা প্রহসন মাত্র। দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি শ্রমজীবী মানুষকে ন্যায্য মজুরি বঞ্চিত রেখে উন্নয়নের গল্প এক ধরনের প্রতারণা।’ ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে শুধু মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন নয়, শোষণমূলক ব্যবস্থা পাল্টাতে শ্রমিকদের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘দেশে মাথাপিছু আয় বাড়ছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। কিন্তু এসবের জোগানদাতা শ্রমজীবী মানুষদের এখনও পে-স্কেলের সমান ১৮ হাজার টাকা মজুরির জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। মালিকদের জন্য আইন উদার হলেও শ্রমিকদের জন্য কঠোর নীতি চলছে সব খাতেই। যেকোনো ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন করলে শ্রমিকদের দাবিকে বিবেচনায় না নিয়ে তাদের দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়।’ পোশাক শ্রমিকদের গ্রেড বৈষম্য দূর করার আন্দোলনে সম্প্রতি নিহত সুমন মিয়া হত্যা বিচারের দাবি জানান তিনি।
শ্রমিক ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি ওসমান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সহসম্পাদক ইমাম হোসেন খোকন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলীসহ অন্যরা। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের দফতর সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন।
সমাবেশ শেষে একটি লাল পতাকা মিছিল পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
সারাবাংলা/ওএম/টিআর