দাম কমেনি চালের
১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:১৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চালের দাম নতুন করে আর বাড়ছে না। তবে নির্বাচনের পরপর যে হারে দাম বেড়েছে সে হারেই এখনও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সবজি, মাংস ও মসলা, আটার দাম স্থিতিশীল থাকলেও কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। অন্যদিকে, বেড়ে গেছে মাছ ও ডিমের দাম।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চালের দাম নির্বাচনের পরপরই কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়ে যাওয়ার পর এখনও সে অবস্থায় আছে। মোটাচালের দাম কোনো কোনো বাজারে কেজিতে ১ টাকা কমেছে। কিন্তু আতপ চালের দাম এখনও বাড়ছে। আটাশ প্রতিকেজি ৩৮-৪০ টাকা, নাজির (ইন্ডিয়ান) প্রতিকেজি ৫৪-৫৬ টাকা, মিনিকেট প্রতিকেজি ৫২-৫৪ টাকা এবং কাজল লতা ৪৪-৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডালের দাম বেড়েছে বাজারে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা।
শীতের সবজিতে ভরপুর রয়েছে বাজার। এখনও দাম স্থিতিশীল আছে এসব সবজি পণ্যের। টমেটো ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, বেগুন ৩০ থেকে ৩৫, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২৫, নতুন আলু ২০ থেকে ২৫, ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা দামের মধ্যে রয়েছে।
পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত থাকলে রসুনের দাম একটু বেড়েছে। মসলার বাজার স্থিতিশীল। আদার দাম আগের চেয়ে কেজি প্রতি ৫ টাকা কমেছে।
মাংস ও মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি। এর মধ্যে সোনালী মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়েছে। বাকি সব আগের দামেই বিক্রি চলছে। তবে মাংসের দাম এ সপ্তাহের পর বাড়তে পারে বলে বলে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন। বাজারে প্রতিকেজি দেশি মুরগি ৩৮০ টাকা এবং ব্রয়লার ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকায় আর খাসির দাম প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা।
আর মুরগির ডিমের দাম ৩ টাকা ও হাঁসের ডিমের দাম ৫ টাকা করে হালিতে বেড়েছে।
অন্যদিকে, রাজধানীর মাছ বাজারে দাম বেশ বাড়ছে। ইলিশের দাম কেজিতে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। অন্যান্য মাছের দামও কেজিতে ৩০-৫০ টাকার মতো বেড়েছে। জাটকা সংরক্ষণের কারণে ইলিশের দাম বাড়ার কারণ বলে জানিয়েছেন পাইকারি বিক্রেতারা।
তারা জানান, এক কেজির বেশি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকার মধ্যে, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০-৭০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি ৪৫০-৫০০ টাকা। চিতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকায়; আইড় মাছ ৬০০-৭০০ টাকা; রুই-কাতলা ২০০-৩০০ টাকা; চিংড়ি মানভেদে ৪০০-৬০০ টাকা; পুঁটিমাছ ১৫০ টাকা আর তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে।
সারাবাংলা/এসএ/এমও