শাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় ঢাবিতে মানববন্ধন
১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:৫৮
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের শিক্ষার্থী তাইফুর রহমান প্রতীকের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলে শিক্ষকদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই মানববন্ধন করে। এতে ‘শিক্ষক নিয়োগে মেধাবীদের বঞ্চনা বন্ধ কর’, ‘চলে গেছে প্রতীক রেখে গেছে ধিক্কার’, ‘প্রতীকের আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই’, ‘শিক্ষক তুমি ত বাসবে ভালো, তবে অন্ধকারে কেনো ঠেলো ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদের সভাপতি সাইফুল্লাহ সাদেক বলেন, এটি আত্মহত্যা নয়, একটি হত্যাকাণ্ড। প্রতীকের বিভাগের শিক্ষকেরা তাকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছে। বহিরাগত ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সহপাঠীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তার থিসিসের জন্য সুপারভাইজার দেওয়া হয়নি। তার প্রতি চরম মাত্রার বৈষম্য করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকদের শাস্তি দাবি করছি। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এরকম ঘটনার শিকার না হন।
প্রসঙ্গত, প্রতীক শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৪ জানুয়ারি বিকেলে সিলেট নগরীর কাজলশাহ এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ তার ফ্যানে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। প্রতীকের বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তা তাওহিদা থিসিসের জন্য সুপারভাইজার না দেওয়ায় তার ভাই হতাশাগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করছেন। এই ঘটনায় প্রতীকের বাবা তৌহিদুজ্জামান সিলেটের কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। শাবিপ্রবি প্রশাসন এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সভাপতি সানোয়ারুল হক সনি, স্লোগান’ ৭১-এর সভাপতি সুজন মিয়াসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/কেকে/এনএইচ