Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিজয় সমাবেশে মালিক শ্রমিকরাও, গণপরিবহন মিলছে না রাস্তায়


১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৪৬

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: একদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার। অন্যদিকে সমাবেশগামী বিপুল যাত্রী টানতে ব্যস্ত ঢাকার গণপরিবহনগুলো। এর ফাঁকে রাজধানীর সড়কে চলাচলকারী বাসের সংখ্যা একেবারেই কমে এসেছে। জরুরি কাজে যারা বেরিয়েছেন তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। বিভিন্ন সড়কের মোড়ে বাসের অপেক্ষায় দেখা গেছে যাত্রীদের। বাস সংকট থাকায় দুপুর ১২টার পর থেকে রাজধানীর মূল সড়কগুলোতে যানজট বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

পরিবহন মালিক শ্রমিকরাও জনসভায় যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করে বাস মালিকদের একজন নেতা জানান, চালক সংকট হবে না। কারণ দুই শিফটে বাস চলে। এক বাসের একাধিক চালক থাকেন।

সরেজমিন বিভিন্ন সড়কে বাসের চলাচল তুলনামূলক কম দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রগতি স্মরণি সড়কের নতুন বাজারে বাসের জন্য অপেক্ষায় শামসুজ্জামান। প্রতিদিন এখান গ্রীণ ঢাকা এসি বাসে মতিঝিল যান তিনি। ঘন্টাখানেক পরও এই বাসের দেখা পাননি তিনি। এ বিষয়ে গ্রীণ ঢাকা বাস মালিক মন্টু মিয়া সারাবাংলাকে জানান, সমাবেশে যাত্রী নিয়ে যেতে তার বেশ কিছু গাড়ি ব্যবহার হয়েছে। এ কারণে সড়কে বাসের কিছুটা সংকট আছে। তার প্রায় ৩০ টি এসি বাস জনসভার যাত্রী নিয়ে যাবে। তবে জনসভা শেষে এগুলো নিয়মিত ট্রিপ দেবে।

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা সামদানী খন্দকার জানান, সায়েদাবাদ, ফুলবাড়ি, মহাখালী টার্মিনালের হাজার হাজার মালিক চালক ও শ্রমিকরা সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগ দেবে।

যান চলাচল নিয়ে পুলিশের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন পর্যন্ত সড়কে সাধারণের চলাচলের জন্য বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে টিএসসি থেকে দোয়েল চত্তরের দিকের সড়কও। মূলত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারদিকের সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠান স্থলের চারপাশের ইন্টারসেকশন যেমন-বাংলামোটর, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, শাহবাগ, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, পলাশী, বকশীবাজার, চানখাঁরপুল, গোলাপশাহ মাজার, জিরো পয়েন্ট, পল্টন, কাকরাইল চার্চ, অফিসার্স ক্লাব, মিন্ট রোড ক্রসিংগুলো থেকে গাড়ি ডাইভারশন করে দেওয়া হয়েছে।

বিআরটিএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহর ও শহরতলীর আড়াইশ রুটে প্রায় আট হাজার বাস ও মিনিবাস চলাচল করে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন এ সংখ্যা অর্ধেকে নামে। তবে, সমাবেশের কারণে এ সংখ্যা আরও কম দেখা যাচ্ছে।

সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, মতিঝিল ও সদরঘাট থেকে মহাখালী হয়ে বিমানবন্দর, আবদুল্লাহপুর, গাজীপুরের বিভিন্ন রুটে বাস তেমন দেখা যাচ্ছে না। এ রুটের বেশিরভাগ বাস জনসভার যাত্রী নিয়ে আসতে ব্যস্ত বলে সারাবাংলাকে জানান ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একজন নেতা।

এদিকে, সায়েদাবাদ থেকে বলাকা, সদরঘাট থেকে আজমেরী, স্কাইলাইন, গুলিস্তান থেকে গুলিস্তান-গাজীপুর পরিবহন, প্রভাতী-বনশ্রী, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-এয়ারপোর্ট পরিবহন লিমিটেড এবং মতিঝিল থেকে গাজীপুর পরিবহন এবং আল মক্কা পরিবহনের অন্যান্য দিনের মত দেখা যাচ্ছে।

আর প্রগতি সরণি হয়ে চলাচলকারী অনাবিল, সালসাবিল, সুপ্রভাত স্পেশাল বাসগুলো মিনিটে মিনিটে প্রতিদিন চললেও শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তেমন একটা চোখে পড়েনি। এ রুটে তুরাগ পরিবহনের কিছু বাস সকাল থেকে চলতে দেখা গেছে।

আর রাইদা, ভিক্টর, প্রচেষ্টা পরিবহনের বাসই একেবারেই কম চলতে দেখা গেছে।

গাজিপুর মতিঝিল রুটের বলাকা পরিবহনের তিনশ বাস চলে। তবে সমাবেশের যাত্রী আনতে গেছে এই পরিবহনে দেড়শো বাস। আর বাকিগুলো শনিবার হওয়ায় নামেনি বলে জানান বলাকা বাসের একজন ম্যানেজার।

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সারাবাংলাকে জানান, দশ হাজার মালিক শ্রমিক জনসভায় যাচ্ছেন। তবে বাস দুই শিফটে চলে বলে সড়কে বাস চালানোর জন্য চালকের সংকট হবে না।

সারাবাংলা/এসএ/জেএএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর