Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিজয় সমাবেশে আমন্ত্রণ পাননি ১৪ দলের শরিকরা


২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৩২

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা : ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার (১৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশের আমন্ত্রণ পাননি ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। ২০০৫ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে জোট গঠনের ১৩ বছর পর এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো। এর ফলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলের শরিকদের মধ্যকার দূরত্বের বিষয়টি আরও প্রকাশ্যে আসলো। আওয়ামী লীগের এই একলা চলো নীতিতে মর্মাহত শরিক দলের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

শরিক দলের নেতারা বলেন, ১৪ দলীয় জোট নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোন পরিকল্পনা থাকলে অথবা আগ্রহ না থাকলে শরিকদের সঙ্গে বসে তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। কারণ ২০০৮ সাল থেকে আমরা একসঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছি। জোটের ভেতর থেকেও বিজয় উৎসবের আমন্ত্রণ না পাওয়াটা দুঃখজনক ও দৃষ্টিকটু।

১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এ প্রসঙ্গে সারাবাংলা’কে বলেন, আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশে আমরা দাওয়াত পাইনি। আমরা যেহেতু জোটগতভাবে নির্বাচন করেছি, তাই বড় এই বিজয়ের অংশীদার আমরাও। বিজয় সমাবেশে শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য রাখার রাখা হলে বিজয় সমাবেশ আরও পরিপূর্ণ হতো। তবে দাওয়াত না পাওয়াটা জোটের রাজনীতিতে ভালো দেখায় না।

জাসদ (আম্বিয়া) সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিক দাওয়াত পাইনি। জোটের ভেতরে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা আলোচনা করে সমাধান করার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের। তবে দাওয়াত না পেলেও এ নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া।

১৪ দলের একাধিক নেতা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জোট শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আচরণও পাল্টে গেছে। ক্ষমতাসীনরা এই আর্দশিক জোট রাখবে, নাকি রাখবে না এটা এখনই সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। তারা বলেন, মন্ত্রিসভায় আমাদের থাকা না থাকা নিয়ে আমরা কোন কথা বলছি না। এছাড়া সংসদে আমরা কোথায় থাকবো এটা জোটের বৈঠকে শিগগির পরিস্কার করা দরকার। কিন্তু এর আগেই আওয়ামী লীগ নানা কায়দায় জোট শরীকদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে। যা কাঙ্ক্ষিত নয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ১৪ দল বিরোধী দলের আসনে বসলে সরকারের জন্য ভালো। তাদের জন্যও ভালো। শরিকরা বিরোধী দলে থাকলে তাদের সমালোচনা থেকে সরকার শুদ্ধ হতে পারবে। একসঙ্গে ও এক প্রতীকে নির্বাচন করার পর শরিক দলগুলোকে বিরোধী দলে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রথমে আপত্তি তুললেও এখন আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলছেন শরিক দলের নেতারা।

সারাবাংলা/এইচএ/এসএন

১৪ দলের শরীক আওয়ামী লীগ বিজয় সমাবেশের আমন্ত্রণ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর