Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গ্রামেও ছয়তলা ভবন হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী


২০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:০৮

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে ছয়তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করে গ্রামের ভূমি স্বল্পতা সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রোববার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘এক দশকের উন্নয়ন: পরিপ্রেক্ষিত গ্রামীণ জনপদ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পাইলট প্রজেক্টের রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে। গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার যে  ইশতেহার জনগণকে দেওয়া হয়েছিল, সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নেই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। গ্রামের চিরাচরিত আনুভূমিক আবাসন ধারণা পরিবর্তন করে ছয়তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করে উলম্ব আবাসন ধারণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভূমি অপচয় রোধ করে কৃষি আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বাড়ানো হবে।

তাছাড়া প্রত্যেক গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জলাশয় রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশের প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব ও সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম, উন্মুক্ত বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ আসকারী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব) জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল বাকী বলেন, ‘গ্রামের উন্নয়নের জন্য আমাদের প্রথমেই সাংস্কৃতিক উন্নয়ন জরুরি। শুধুমাত্র ভৌত উন্নয়নকে গ্রামীণ জনপদ উন্নয়নের মাপকাঠি দিয়ে বিচার করা যাবে না। গ্রামের যে নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ রয়েছে সেটিকে অবলম্বন করেই আমাদের উন্নয়ন করতে হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিয়াদুল করিম গ্রামে প্রগতিশীল শিক্ষা চালুর প্রতি জোর দিতে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘শুধুমাত্র অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকে আমরা পৌঁছাতে পারব না। এর জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত ও প্রগতিশীল শিক্ষা পদ্ধতি।’

অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, ‘গ্রামীন উন্নয়নে প্রথমেই জরুরি ধনী-দরিদ্র বৈষম্যকে কমিয়ে আনা ও মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’

এছাড়া একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শও দেন তিনি।

সারাবাংলা/ওএম/একে

গ্রামকে শহর গ্রামীণ অর্থনীতি পরিকল্পনামন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর