চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন এরশাদ
২০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:৪৯
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আগের চেয়েও অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছেন। ফলে তাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ জানুয়ারি) সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তার সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, এরশাদের ছোট ভাই হুসেইন মোর্শেদ এবং মোর্শেদ এর স্ত্রী রুখসানা খান মোর্শেদ।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য’ সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন এরশাদ। জয়ী হওয়ার পর দেশে ফিরে শপথও নেন। কিন্তু এরপর থেকেই তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকেন।
দলটির একাধিক সূত্র জানায়, এরশাদের শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক। চার দিন পর পর তাকে রক্ত দিতে হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে রক্ত উৎপাদন কমে গেছে। তিনি বিছানা থেকে এক উঠে বসতে পারেন না। খাবারও খেতে পারেন না। স্বাভাবিকভাবে কথাও বলতে পারছেন না তিনি।
দুই-তিনদিন আগে থেকেই এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে এরশাদ বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিদায় নেন। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে দলীয় সূত্র জানায়।
বিমানবন্দরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিদায় জানান জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি, মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সৈয়দ আব্দুল মান্নান, মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, যুগ্ম মহাসচিব- লিয়াকত হোসেন খোকা প্রমুখ।
এরশাদের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় আসন্ন সংসদ অধিবেশনে এরশাদের যোগদান করা কষ্টকর হয়ে যাবে। এছাড়া সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তাকে সার্বক্ষণিক নজরে রাখতে পরিবার সদস্যদের বলেছেন।
এরশাদের এ অবস্থায় দলটির নেতৃত্বও অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। দলের বিশৃঙ্খলা এড়াতে এরইমধ্যে এরশাদ জি এম কাদেরকে দলের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে