গতবছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মারা গেছেন ৫ হাজার ২১৪ জন
২০ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৫৬
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: দেশে গতবছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৮৬ জন, আর মারা গিয়েছেন ৫ হাজার ২১৪জন। প্রাথমিকভাবে কোনও দৃশ্যমান পূর্বলক্ষণ প্রকাশ না করলেও নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে এই ক্যান্সার সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সার্ভিক্যাল অ্যান্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা।
রোববার (২০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে জরায়ুমুখ ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতামূলক এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সাল থেকে ১৯ থেকে ২৫ জানুয়ারি জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
অধ্যাপক ডা. আশরাফুন্নেসা বলেন, ‘জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ভায়া নামক পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সারের পূর্বাবস্থা নির্ণয় করা যায় ও ভবিষ্যতে ক্যান্সার আক্রান্ত হবার আশঙ্কা থাকলে সেটিও শনাক্ত করা সম্ভব এবং এটা নারীরা নিজেরাই করতে পারেন। সরকার জরায়ুমুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রকোপ ও ভয়াবহতা উপলব্ধি করে মন্ত্রণালয় ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সী নারীদের জন্য বিনামূল্যে ভায়া ও সিবিই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় জরায়ুমুখ, স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দেশব্যাপী স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি, ক্যান্সার নির্ণয় ও প্রতিরোধসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করছে। জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার বড় ধরনের একটি ঘাতকব্যাধি। শুরুতে এই ক্যান্সার নির্ণয় করতে পারলে অনেক জীবন রক্ষা করা যাবে।’
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়নে ‘জাতীয় জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার নির্ণয় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়নে সফলতার সাথে দেশব্যপী ৪৩১টি কেন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, নির্বাচিত উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে জরায়ুমুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার নির্ণয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।’
সারাবাংলা/জেএ/এমও