Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৈষম্য ও অসমতা দূর করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান নাগরিক সমাজের


২০ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৪৭ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ২২:৪৮

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: ক্রমবর্ধমান বৈষম্য ও অসমতা দূর করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়।

সাউথ এশিয়ান অ্যালায়েন্স ফর পোভার্টি ইরাডিকেশন (স্যাপি)’র বাংলাদেশ চ্যাপ্টার আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন দক্ষিণ এশিয়া গড়তে সকলে ঐক্যবদ্ধ হই’ শীর্ষক ওই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন স্যাপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর।

সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সাবেক সভাপতি ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, ইনসিডিন বাংলাদেশ-এর পরিচালক মুশতাক আলী, ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আইইডির নির্বাহী পরিচালক নোমান নূমান আহম্মেদ খান, আদিবাসী নেতা দীপায়ন খীসা, অক্সফাম প্রতিনিধি মঞ্জুর রশীদ, বিএনপিএসর শাহনাজ সুমীসহ অনেকে।

সমাবেশে রোকেয়া কবীর বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ ওর্য়াল্ড ইকোনোমিক ফোরামের অর্থনৈতিক আলোচনাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য একত্রে দাঁড়িয়েছি, যার নামে ধনী, অভিজাত এবং বৃহৎ বহুজাতিক করপোরেশনগুলো জলবায়ুকে ধ্বংস করছে। নারী, শ্রমিক ও আদিবাসী জনগণের অধিকারগুলো ছিন্ন করতে মুনাফা এবং শক্তি প্রয়োগ করছে। আমরা একটি মহৎ সমতাভিত্তিক বিশ্ব বিনির্মাণে একত্রে দাঁড়িয়েছি, যেখানে সকল মানুষের অধিকার সম্মানিত এবং পরিপূর্ণ, সকল সম্ভাবনা, সুযোগ এবং খ্যাতি সবাই ভাগ করে নেয়।

ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জনগোষ্ঠী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও লিঙ্গ নির্বিশেষে বৈষম্যের শিকার। বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার অংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ৩০ বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় বৈষম্য চরমভাবে বেড়েই চলেছে।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন বলেন, জনগণকে দরিদ্র ও নীরব রাখার উদ্দেশ্যে ক্ষমতাবানকে শক্তিশালী করার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে দাঁড়িয়েছি। একটি নতুন অর্থনৈতিক মডেলের দাবিতে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশের সক্রিয়জন, সামাজিক আন্দোলন, নারীবাদী, আদিবাসীসহ সকলে একসঙ্গে দাঁড়িয়েছি। যা মানুষের অর্থনৈতিক সুবিধা, শান্তি এবং গণতন্ত্র পুনর্নিমাণ করবে এবং একটি অধিকতর ভালো বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরি করবে।

সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সরকারসমূহকে ধনী এবং দরিদ্রদের মধ্যকার ব্যবধান কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, মজুরী বৈষম্য কমানো, নারীর প্রতি বৈষম্য কমানো, দেশীয় কর রাজস্ব সচল করা এবং ধনী ব্যক্তি ও কোম্পানির প্রতি অন্যায্য কর ছাড় বন্ধ করার দাবি জানান। এছাড়া জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিনিয়োগ করা, দায়িত্বশীল রাষ্ট্র গড়ে তোলা এবং সকলের জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমআই

নাগরিক সমাজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর