৫ কোম্পানির পানি মানহীন
২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৩৫
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: পানি সরবরাহকারী অ্যাকোয়াসহ পাচঁটি কোম্পানির পানি মানহীন বলে আদালতকে জানিয়েছে বিএসটিআই। সোমবার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
পরে এই পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। অ্যাকোয়াছাড়া বাকি চারটি কোম্পানি হলো -ইয়াম্মি ইয়াম্মি, ওসমা, সিনমিন, সিএফবি।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার (২১ জানুয়ারি) প্রতিবেদন দেয় ওই কমিটি। প্রতিবেদনে এই পাচঁটি কোম্পানির পানি মানহীন বলে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, গত ১৩ জানুয়ারি অবৈধভাবে ও নিম্নমানের জ্বার ও বোতলজাত খাবার পানি উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধে গঠিত কমিটি কি কাজ করেছে তার বিস্তর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনকে (বিএসটিআই) এক সপ্তাহের মধ্যে এ প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়। পরে আদালত ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করে দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন।
‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামে গতবছর ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে গতবছর ২৭ মে রিট আবেদন করা হয়। গত বছর ৩ ডিসেম্বর এক আদেশে বেআইনিভাবে খাবার পানি বাজারে সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিএসটিআই ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এছাড়া আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বিএসটিআই কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা ১৫ দিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আদালতকে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি এ নিয়ে রুল জারি করেন।
রুলে প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সরকারের ব্যর্থতা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না এবং প্লাস্টিক বোতল ও জ্বারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কেন নির্দেশ দেওয়া হবেনা তা জানতে চাওয়া হয়েছে। খাদ্য ও স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সাতজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমও