বিনামূল্যের পাঠ্যবই খোলাবাজারে, দোকানি গ্রেফতার
২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৮:১২
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বছরের প্রথমদিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া বিনামূল্যের পাঠ্যবই দোকান থেকে উদ্ধার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। কিছু শিক্ষক ও কর্মচারী মিলে এসব বই টাকায় বিক্রির জন্য দোকানে সরবরাহ করেছে।
রোববার গভীর রাতে নগরীর আন্দরকিল্লায় ‘প্রকাশ বিচিত্রা’ নামে একটি বইয়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন শ্রেণির ২৮৩টি বই উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দোকান মালিকের ছোট ভাই স্নেহাশীষ তালুকদার জুয়েলকে (২৮)।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি/ডিবি-উত্তর) মো.কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন স্কুলের কিছু শিক্ষক ও কর্মচারি মিলে যত শিক্ষার্থী নেই, তার চেয়ে সংখ্যায় বেশি দেখিয়ে বেশি বই সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কাছ থেকে সংগ্রহ করে। উদ্বৃত্ত বই তারা বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করে। সেখানে দাম দিয়ে বইগুলো বিক্রি হয়।’
বিনামূল্যের বই খোলাবাজারে বিক্রির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ও সরকারি একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিকে ‘বিতর্কিত’ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে মন্তব্য এই পুলিশ কর্মকর্তার।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইলিয়াছ খান সারাবাংলাকে জানান, আন্দরকিল্লার বইয়ের দোকান থেকে প্রথম শ্রেণির ৩০টি বাংলা বই, ১৭টি গণিত, ১৮টি ইংরেজি, দ্বিতীয় শ্রেণির ২৩ টি বাংলা বই, পাঁচটি অংক, ১৩টি ইংরেজি, চতুর্থ শ্রেণির ১৮ টি বাংলা বই ১৪টি অংক, ১৫টি ইংরেজি, সাতটি বিজ্ঞান ও চারটি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচিতি ও পঞ্চম শ্রেণির ১২টি বাংলা বই উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির তিনটি বিজ্ঞান ও চারটি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচিতি, নবম-দশম শ্রেণির ১৬ টি বিজ্ঞান, ছয়টি করে উচ্চতর গণিত ও ভূগোল ও পরিবেশ ও তিনটি করে রসায়ন বই উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে আন্দরকিল্লার সংশ্লিষ্ট দোকানের মালিক দেবাশীষ তালুকদার আশিষকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
জুয়েলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। বিনামূল্যের বই কিভাবে খোলাবাজারে এসেছে, সেটা জানতে গ্রেফতার হওয়া জুয়েলকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইলিয়াছ খান।
সারাবাংলা/আরডি/একে