কবিরহাটে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলা ডিবিতে
২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:৫৪
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
নোয়াখালী : নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এ মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা চারজন।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) জেলার পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে কবিরহাট উপজেলার ধানসিড়ি ইউনিয়নের নবগ্রাম থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নবগ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই নারীর আত্মীয় আব্দুর রব হোসেন মান্না (২১), ইমসাইলের ছেলে মো. সেলিম (২৫) ও মফিজুর রহমানের ছেলে হারুন অর রশিদ (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রোববার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে মামলার প্রধান আসামী জাকির হোসেন নোয়াখালীর চার নম্বর বিচারিক আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহ’র আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছের।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, পরে গ্রেফতার তিন আসামির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন তারা। তবে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম উজমা শুকরানা কোন আদেশ না দিয়ে, আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এবার কবিরহাটে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে স্বামীর অনুপস্থিতিতে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে ওই নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। এরপর শনিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় দোকানী জাকির হোসেনসহ চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র নোয়াখালী শাখা। দুপুরে জেলা শহর মাইজদী টাউন হল মোড়ে ঘন্টাব্যাপি এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
সংগঠনের জেলা শাখার সংগঠক স্বর্ণালী আচার্য্য’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) নোয়াখালী জেলা কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথ নান্টু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর সাংগঠনিক সম্পাদক তাজ নাহার রিপন, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা শাখার সদস্য মুনতাহার প্রীতি প্রমুখ।
বক্তারা ধর্ষণকারী যে দলেরই হোকনা কেন, তাদের গ্রেফতার এবং ইতোমধ্যে গ্রেফতার হওয়া আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় যেন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা না হয় সে দাবিও জানান তারা।
সারাবাংলা/এসএমএন