।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: চলে গেছেন বরেণ্য সংগীত শিল্পী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, কিন্তু রেখে গেছেন তার অমর সৃষ্টি অসাধারণ সব গান। তিনি ছিলেন একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৭০ দশকের শেষ লগ্ন থেকে অমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সঙ্গীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
চলে গেলেও কিংবদন্তি এই সংগীত ব্যক্তিত্বকে বাংলার মানুষ মনে রাখবে তারা সৃষ্টি হাজারো গানের জন্য। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন বুলবুল। তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আব্দুল হাদি, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনক চাঁপাসহ বাংলাদেশী প্রায় সকল জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এগারো বার বাচসাস পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার পান।
অসংখ্য গানে সুর করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, যার অধিকাংশ গানই তাঁর নিজের লেখা। বুলবুলের সৃষ্টি কিছু জনপ্রিয় গানের মধ্যে আছে- সব কটা জানালা খুলে দাও না, ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে, একাত্তরের মা জননী কোথায় তোমার মুক্তিসেনার দল, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন, পড়ে না চোখের পলক, ও ডাক্তার, ও ডাক্তার …, আমার বুকের মধ্যেখানেসহ আরও অনেক।
সারাবাংলা/এমও