উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মান ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ
২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:৫৮
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা : জনগণ ভোটের মাধ্যমে সরকারের ওপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে তার মর্যাদা ধরে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটিই প্রথম একনেক বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, চলমান প্রকল্পগুলোর কাজের গতি ধরে রাখতে হবে, তবে অবশ্যই কাজের মান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য কাজে নজরদারীও বাড়াতে নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। অর্জিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হবে এবং আরও বাড়াতে হবে। আর এজন্য প্রকল্প বাছাই ও বাস্তবায়নে যত্নবান হতে হবে। এভাবেই উন্নয়নের পথে যাবো। ঊন্নয়নশীল এর মর্যাদা পেয়েছি। উন্নত দেশের কাতারে যেতে হবে।’
জনগণ যে গুরু দায়িত্ব দিয়েছে সেই বিশ্বাসের সম্মান রাখবেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূলের প্রতিটি মানুষের জীবনমান ও ভাগ্য যেন উন্নত হয়, তারা উন্নয়নের সুফল পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
সবাই মিলে কাজ করে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতাও চান প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে মোট নয়টি প্রকল্পের প্রস্তাব উঠছে। এগুলো হলো : পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে পুষ্টি সমৃদ্ধ উচ্চ মূল্যের অপ্রধান শস্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ কর্মসূচি, বিদ্যমান ৭টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের উন্নয়ন ও নতুন ৬টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপন, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, গোপালগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ (তৃতীয় সংশোধিত), যাত্রাবাড়ী (মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার)-ডেমরা (সুলতানা কামাল সেতু) মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, নেত্রকোণা জেলার চল্লিশা-কুনিয়া-মেদনী-রাজুবাজার সংযোগ মহাসড়ক নির্মাণ, গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে বিদ্যমান ৯টি সরু ও জরাজীর্ণ নেতুর স্থলে ৯টি আরসিসি/পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ এবং প্রতি জেলা উপজেলায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ।
তবে এই প্রকল্পগুলির মধ্যে প্রতি জেলা উপজেলায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি বাতিল করা হতে পারে। কারণ মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের ভিটা ছেড়ে নতুন ফ্ল্যাটে উঠতে আপত্তি জানিয়েছেন। সে কারণে আপাতত প্রকল্পটি বাতিল করা হতে পারে।
সারাবাংলা/এমএমএম/এসএমএন